এবার চোটের ধাক্কা আফগানিস্তান দলে। পিঠের চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে ছিটকে গেছেন আফগান স্পিনার আল্লাহ গজনফর। ছন্দে থাকা গজনফরের চোটে কপাল খুলেছে আফগানিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার নানগায়াল খারোতির।

গজনফরের ছিটকে যাওয়া আফগানিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা। আফগানিস্তানের হয়ে মাত্র ১১ ওয়ানডে (২১ উইকেট) ও ১টি টেস্ট (৪ উইকেট) খেললেও এই স্পিনার এরই মধ্যে তারকা হয়ে উঠছেন।

সর্বশেষ খেলছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে। আগে থেকেই চোটের কারণে দলে নেই আরেক স্পিনার মুজিব উর রেহমান।

গজনফর চোটে পড়েছেন মূলত আফগানিস্তানের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে। বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে টেস্ট খেলেছিল আফগানিস্তান। সেই চোট নিয়েই খেলেছেন টি-টোয়েন্টি লিগে।

গজনফরের চোট নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে চোটে পড়েছেন গজনফর। ৪ মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে, এই সময়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলবে তাঁর। এর মানে তিনি আইপিএলও মিস করতে যাচ্ছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস প্রথমবারের মতো দলে নিয়েছিল গজনফরকে।

আরও পড়ুনএবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন স্টার্ক—অস্ট্রেলিয়া খেলবে কাদের নিয়ে২ ঘণ্টা আগে

গজনফরের বদলি হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে যাঁকে, সেই খারোতি আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৭টি ওয়ানডে। যার সর্বশেষটি গত বছরের নভেম্বর শারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বাকি দুই ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে উইকেট আছে ১১টি। গত বছরের মার্চে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া এই স্পিনার টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৬টি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ ২১ ফেব্রুয়ারি, করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

আরও পড়ুনভিনিসিয়ুসকে খুঁচিয়ে সিটিরই ‘রক্ত’ ঝরল১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ