Samakal:
2025-09-17@23:50:08 GMT

বসন্ত ছুঁয়েছে...

Published: 13th, February 2025 GMT

বসন্ত ছুঁয়েছে...

দিনপঞ্জি দেখে বসন্ত বাতাস বইবে– এমন কোনো কথা নেই। তবু পহেলা ফাল্গুন এলেই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেই আমরা। আনন্দ-হাসি-গানে ভরিয়ে রাখি চারপাশ। দিনটি আরও বর্ণিল হয়ে উঠে ভালোবাসার মানুষদের আনাগোনায়। কারণ একটাই, ১৪ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে বসন্তবরণ ও ভালোবাসার দিন। তাই বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গানের ভুবনের বাসিন্দারাও সাজিয়ে রাখেন তাদের নতুন আয়োজনের পসরা।

প্রতি বছরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারকা থেকে শুরু করে নতুন শিল্পী ও সংগীতায়োজকরা প্রকাশ করেছেন নানা স্বাদের গান। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কী আছে বসন্ত ও ভালোবাসার সুর-মূর্ছনার তালিকায়। ভালোবাসার গান নিয়ে আরও একবার আলোচনায় এসেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ। তাঁর নতুন আয়োজন ‘পাগল হাওয়া’ প্রকাশে ঘোষণার সময় থেকেই শ্রোতাদের কৌতূহল ছিল লক্ষ্য করার মতো।

শ্রাবণের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব নিজেই। কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন নতুন একক গান ‘কষ্ট ভীষণ’ মাধ্যমে। আহমেদ রিজভীর লেখা এই গানের সুর করেছেন মনোয়ার হোসেন টুটুল। সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ মজুমদার। অন্যদিকে প্রিন্স মাহমুদ নতুন স্বাদের আয়োজন দিয়ে চমকে দিয়েছেন শ্রোতাদের। তাঁর কথা ও সুরে তাহসান ও আতিয়া আনিসার গাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার ‘জনম জনম’ গানটি হয়ে উঠেছে ভালোবাসা দিবসের ছন্দময় স্মারক। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। শুধু এই গানের সংগীতায়োজনই নয়, নতুন একক গান ‘মন বুঝলি না’ প্রকাশ করেও শ্রোতার মাঝে সাড়া ফেলেছেন ইমরান। আবদার রহমানের লেখা এ গানের সুর করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। পাশাপাশি এর সুরকার যৌথভাবে সংগীতায়োজন করেছেন সঞ্জয়ের সঙ্গে। এদিকে ভালোবাসা দিবস আসার আগেই আলোড়ন তুলেছে বে অব বেঙ্গল ব্যান্ডের ‘গন্ধ খুঁজে পাই’ গানটি। একইভাবে শহরতলী ব্যান্ডের ‘কবির মৃত্যু’ গানটি হয়ে উঠেছে এই বসন্তের ব্যতিক্রমী আয়োজনের তকমা। গুঞ্জন রহমানের লেখা ও হৃদয় খানের সুরে ন্যান্সির গাওয়া ‘তোমারই আছি’ গানে খুঁজে পাওয়া গেছে ভিন্নতার ছাপ। এর বাইরেও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ন্যান্সি প্রকাশ করেছেন আরেকটি একক গান; যার শিরোনাম ‘প্রেমে পড়ার গান’। তারিক বিন ইসলাম তুহিনের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ হাসান নিরব। ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোরের ‘প্রেমে পড়ে যাই’ গানটি অনেকের প্রিয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। কবির বকুলের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী কিশোর নিজে। কিশোরের পাশাপাশি একই রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা শিল্পী লিজা প্রকাশ করছেন দুটি গান। সেই তালিকায় আছে তাঁর একক গান ‘তুমি এলে’ এবং সামসের সঙ্গে গাওয়া হিপহপ ঘরানার দ্বৈত গান ‘তিতা কথা’। 

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের আরেক চমক ছিল বলিউডের নন্দিত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্টের সঙ্গে গাওয়া সিঁথি সাহার দ্বৈত গান ‘বৃষ্টিবিলাস’। সোমেশ্বর অলির লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। কণ্ঠশিল্পী আগুন তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে বিরতি ভেঙে প্রকাশ করেছেন নতুন একক গান ‘এক গ্লাস’। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুর করেছেন আলী আকতার রুনু। একইভাবে শিল্পী বাঁধন সরকার পূজা শ্রোতাদের প্রত্যাশা মেটাতে প্রকাশ করেছেন একক গান ‘এক জনমে হাজার মরণ’। ‘জংলি’ সিনেমার দ্বৈত গান ছাড়াও আলোচিত তরুণ শিল্পী আতিয়া আনিসার কণ্ঠে আরেকটি শ্রুতিমধুর গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন শ্রোতা; যার শিরোনাম ‘মন পাখি’ কিংকর আহসানের লেখা এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব।

শিল্পী মাহতিম শাকিব শ্রোতা মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে ‘ফেব্রুয়ারি’ শিরোনামের ব্যতিক্রমী আয়োজন তুলে ধরার মধ্য দিয়ে। প্রসেনজিত ওঝার লেখা এ গানটি সংগীতায়োজন করেছেন শোভন রায়। অসংখ্য রোমান্টিক গান গেয়ে সংগীতপ্রেমীর হৃদয় জয় করা শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ও সোমনূর মনিরা কোনাল দু’জনেই দুটি ভিন্ন স্বাদের গান উপহার দিয়েছেন। ‘মন বলেছে চুপি চুপি’ শিরোনামের গানটিতে কনার সহশিল্পী ছিলেন অয়ন চাকলাদার।

আবুবকরের লেখা এ গানটির সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী অয়ন চাকলাদারকে নিয়ে। অন্যদিকে কোনালের গাওয়া ‘অন্তরে বাহিরে’-এর কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনির খান শ্রোতার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন প্রমা ইসলামের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘তোমাকে চাই আমি’ গানের মধ্য দিয়ে। রাসেল কবিরের লেখা এই গানের সুর করেছেন মাসুদ টুটুল। সংগীতায়োজন করছেন সোহেল আজিজ। এর বাইরেও বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু গান; যা সব শ্রেণির সংগীতপ্রেমীর মনোযোগ কাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পী, সংগীতায়োজক ও প্রকাশকরা।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বসন ত ও ভ ল ব স র স গ ত য় জন স র কর ছ ন ন একক গ ন কর ছ ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’

হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্‌যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।

এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’

বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস
  • দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে পুলিশ: আইজিপি
  • শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সিঙ্গাইরের ৭৭ মণ্ডপে অনুদান বিতরণ
  • শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে বন্দরে প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত 
  • মোদির জন্মদিনে ট্রাম্পের ফোন, মেসির উপহার
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান গেল ভারতে
  • সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
  • ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
  • ‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
  • দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ