ভিন্ন ভাষায় কথা বলা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় বার্তা অনুবাদ সুবিধা। নতুন এই সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তার ভাষা শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে অনুবাদ করতে পারবে, ফলে ব্যবহারকারীদের বর্তমানের মতো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাষা নির্বাচন করে অনুবাদ করতে হবে না। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডাব্লিউএবেটাইনফো।

ডাব্লিউএবেটাইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারকারীর যন্ত্রের ভেতরেই করা হবে এবং কোনো তথ্য বাইরের সার্ভারে পাঠানো হবে না। ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই এই সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ থাকায় ব্যবহারকারীদের আদান-প্রদান করা বার্তার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নষ্ট হবে না।

নতুন এই সুবিধা এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। শিগগিরই সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, গ্রুপ চ্যাটে ভিন্ন ভাষায় কথা বলা ব্যক্তিরা যুক্ত থাকলে নতুন এই সুবিধা অত্যন্ত কার্যকর হবে। সুবিধাটি চালু থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি বার্তার ভাষা শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে অনুবাদ করে দেখাবে, ফলে ভিন্ন ভাষায় কথা বলা ব্যক্তিরা একে অপরের পাঠানো বার্তা নিজ ভাষায় পড়তে পারবেন।

নতুন এ সুবিধা চালুর পাশাপাশি আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এআই ট্যাব চালুর পরিকল্পনা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এআই ট্যাবটির মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার নিজস্ব এআই চ্যাটবটের পাশাপাশি অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই চ্যাটবট দ্রুত ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প অন ব দ ক এই স ব ধ ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ