চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক দুই ছেলেসহ বিএনপি নেতাকে ছাড়াতে থানার সামনে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
Published: 15th, February 2025 GMT
নাটোরের লালপুর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাসহ তাঁর দুই ছেলেকে আটকের প্রতিবাদে থানার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। আজ শনিবার দুপুরে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ ও মহাসড়কে অবরোধ করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন খাঁ, তাঁর দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী অনিক খাঁ ও ফিরোজ খাঁ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার লালপুর কলোনিপাড়া থেকে তাঁদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের মুক্তির দাবিতে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে বেঞ্চ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা। কিছুক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুটি সড়কে শত শত যানবাহন আটকে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।
বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ থ ন র স মন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ