রাজধানীতে সড়ক আটকে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, যান চলাচল ব্যাহত
Published: 16th, February 2025 GMT
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। রোববার সকালে দিনের শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালকরা যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা মিরপুর ১৩ এলাকায় বিআরটিএ অফিসের সামনে সকাল সোয়া ৯টায় সিএনজি চালকদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর মগবাজার, রামপুরাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবরোধের খবর পাওয়া গেছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থী।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত আদায় করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। বিআরটিএ’র এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জানিয়ে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া নিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
পত্রে বলা হয়েছে, গ্যাস বা পেট্রোল চালিত ৪-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী, কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন এবং মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী, অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন (প্রথম দুই কিলোমিটার) ভাড়া ৪০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা এবং ওয়েটিং বিল প্রতি মিনিটে দুই টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকায় ১৫০ টাকার নিচে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করা সম্ভব নয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর ধ ব আরট এ র ধ কর চ লকর স এনজ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।