বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমর গণতন্ত্রের পথে পৌঁছাতে পারি।’

রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেট, ক্রিড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ও সুসাশন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমরা আরেকটি সংগ্রাম শুরু করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে ফুটবল খেলা নেমে গেছে। ফুটবল খেলা দেশের খেলা, মানুষের খেলা। এই খেলাকে আবারও জাগ্রত করতে বিএনপি কাজ করছে। ফুটবলকে আবারও জাগ্রত করে তুলতে হবে। যে কাজটি করার কথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সে কাজটি বিএনপি করছে। সারা দেশে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে বিএনপি।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে শুধু ফুটবলের নয়, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছেন। জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রতে মুক্ত করেছিলেন। তার অবদান অপরিসীম।’

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের ৮ জেলা বিএনপির ফুটবল দল অংশগ্রহণ করবে। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলার ও ঢাকা উত্তর বিএনপির আহব্বায়ক আমিনুল হক, সাবেক ফুটবলার রুম্মন বিন ওয়ারী সাব্বির, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র গণতন ত র গণতন ত র ব এনপ র ফখর ল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি