চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘রাকসু সংলাপ: সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আমরা পাঁচ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তবে এর মধ্যে পোষ্য কোটা বাতিল আন্দোলনসহ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় সামনে আসায় সেটা সম্ভব হয়নি। এসব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়েছে। তবে এবার আর আমরা সময় দিচ্ছি না। এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই রাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।’

সবাইকে রাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘রাকসু যেহেতু শিক্ষার্থীদের চাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে, তাই শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাই এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া গণতন্ত্রমনা এবং রাজনৈতিক সংগঠনের বাইরে মুক্তচিন্তা চর্চা করে—এমন ১০০ শিক্ষক এবং ১ হাজার শিক্ষার্থী হলেই আমরা রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।’

আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন সংগঠনের ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি পরিচালক আরাফাত আলী সিদ্দিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নোমান ইমতিয়াজ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদাধিকারবলে রাকসুর সভাপতি। তিনি চাইলে কমিটির যে কাউকে বা পুরো কমিটিকে বহিষ্কার করতে পারেন। যেহেতু রাকসুকে গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্র বলা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে উপাচার্যের এই অতিরিক্ত ক্ষমতা সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চাবহির্ভূত বলে মনে করি। তাই রাকসুর সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের এই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক নওসাজ্জামান বক্তব্যে রাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি পদ রাখার দাবি জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ