চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ আরিফ হায়দারের পদত্যাগ ও ৯ নারী শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।

সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে মশাল মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস হয়ে শেখ হাসিনা হলে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, ‘নারী মানে হানি না, এই প্রশাসন মানি না’, ‘ছাত্রী হলে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘লুকিয়ে করা বহিষ্কার, প্রহসন তা পরিষ্কার’ ইত্যাদি।

মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা ছাত্রী হলের সামনের সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এতে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা, সুমাইয়া শিকদার, জান্নাতুল মাওয়া প্রমুখ।
প্রক্টরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, আমরা জানতে চাই, কেন প্রক্টর ছাত্রী হলে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। কেন ২ জানুয়ারি এক শিক্ষার্থী ছাত্রী হলে ঢুকে ভাঙচুর করার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যর জন্য প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ আরিফ হায়দার সমকালকে বলেন, বোর্ড অব রেসিডেন্স শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রস্তাব করেছে, যা এখনও তদন্তাধীন। কাজ শেষে নোটিশ পাঠানো হবে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে হল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ছাত্রীদের অভিযোগ, একদল শিক্ষার্থী নামফলক ভাঙতে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। ওইদিন রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতিবাদ জানাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের সঙ্গেও শিক্ষার্থীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে অশোভন আচরণ করেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ১০ জনকে বহিষ্কারের তথ্য প্রকাশের পর সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ র দ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতে থেকে থাকলে, তাঁদের উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে।

ভারত থেকে কিছু মানুষকে বিভিন্ন জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। আমাদের দেশের নাগরিক যদি ভারতে থাকেন, তাহলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠালে আমরা নেব। কিন্তু তাঁদের জঙ্গলের ভেতর ও নদীতে ফেলে যাওয়া কোনো সভ্য দেশের আচরণ হওয়া উচিত নয়।’

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঈদ–পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে মারধর করলে পুলিশকে খুব সচল বলে ভাবা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এমন পুলিশ চাইছে না। আমরা মানবিক পুলিশ চাচ্ছি, যারা সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করবে। এখনকার পুলিশ হচ্ছে মানবিক পুলিশ। তারা এখন ভালো ব্যবহার করে দেখেই সাধারণ জনগণ ভাবছে, পুলিশ সচল হয়নি। বর্তমান পুলিশ কিন্তু আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয়।’

আরও পড়ুন২৪ দিনে ১১৪৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ০১ জুন ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যখন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে অনুযায়ী প্রস্তুত রয়েছে।’

আরও পড়ুনভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা০৩ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, সামরিক কুচকাওয়াজ ঘিরে উত্তেজনা
  • যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, সামরিক কুচকাওয়াজ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা
  • ইরানে ইসরায়েলের হামলা বিশ্বকে বড় ঝুঁকিতে ফেলেছে: খেলাফত মজলিস