জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: উপদেষ্টা আসিফ
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষদিনে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক শেষে এ কথা বলছেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ডিসি-বিভাগীয় কমিশনাররা স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এতে তারা সমস্যায় আছেন। তারা স্থানীয় নির্বাচন চায়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হোক এটা চাই। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার বিষয়টা দেখছে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতেও স্থানীয় নির্বাচন হওয়া জরুরি।
এদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা। বিএনপি আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাইলেও জামায়াত ও ছাত্ররা আগে স্থানীয় ভোট চায়।
যারা গণহত্যার সাথে জড়িত, তারা কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেও জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, তবে যারা অন্যায় ও অপরাধের সাথে জড়িত না, তারা ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। কোনো বাধা নেই। তবে গণহত্যার মামলার আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।