স্বৈরাচার পতন হলেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: মঈন খান
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান বলেছেন, স্বৈরাচার পতন হলেও এখনও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এখন নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকাস্থ মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরামের আয়োজনে গণ অভ্যুত্থান, গণ প্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের আবেগকে উপলব্ধি করতে হবে। অথচ এ সরকার গত ৬ মাসে সাহসিকতার সঙ্গে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালনের বার্তা জনগণকে দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সরকারকে যে ম্যান্ডেট দিয়েছে তা রক্ষা করতে হবে। ক্ষমতা উপভোগের নয়, দায়িত্ব রক্ষার। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে এ সরকার আসেনি।
ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়কদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মঈন খান। তিনি বলেন, সমন্বয়ক, নাগরিক কমিটি বা সরকারের মধ্যে যারা দায়িত্ব পালন করছে তারা কতজন ছাত্র? তারা কি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না?
এ সময় বিগত পনেরো বছর তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।