দেখে মনে হতে পারে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন তামিম ইকবাল! তবে বিষয়টি তা নয়। আসন্ন প্রতিযোগিতার আগে পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে সময় কাটাতেই দুবাইয়ে অবস্থান করছেন দেশের অন্যতম সফল এই ওপেনার। ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন তিনি।

গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সতীর্থদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন তামিম। ক্যাপশনে লেখেন, 'আশাকরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো শুরু করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলকে শুভকামনা।' ছবিতে আরও ছিলেন তাসকিন আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

দুবাইয়ে তামিমের নিয়মিত যাতায়াত থাকলেও এবার সফরের উপলক্ষ ভিন্ন। আজ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই হয়তো গ্যালারিতে বসে উপভোগ করবেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় মাঠে নামার সুযোগ নেই, তবে মাঠের বাইরে থেকে দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন দেশসেরা এই ব্যাটার।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আজ বিকেল ৩টায় দুবাইয়ে শুরু হবে লাল-সবুজের দলের অভিযান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আত্মবিশ্বাসী, 'সব দলই ট্রফি জয়ের সামর্থ্য রাখে। তবে আমি প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব।'

ওয়ানডেতে দুই দল এখন পর্যন্ত ৪১ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে ভারতের জয় ৩২টি, বাংলাদেশের ৮টি, আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বশেষ পরাজয় ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেবার ভারত গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এবারও বড় কিছু করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ