অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব কতটা সঠিকভাবে পালন করছে, তা দেশের মানুষের রাডারে (নজরে) রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, স্বৈরতন্ত্র থেকে সমাজকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করতে হবে। এই দায়িত্ব সরকার কতটা সঠিকভাবে পালন করছে, তা দেশের মানুষের রাডারে রয়েছে।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মঈন খান এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘…এটা অস্বীকার করা যাবে না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষের রক্তে রয়েছে, তারা কখনো স্টাবলিসমেন্টকে মেনে নেয় না।.

..এই একই জনতা কিন্তু তাদের (সরকারের) জবাবদিহির জন্য আবার ফুঁসে ওঠে…এটা সবাইকে স্মরণে রাখতে হবে।’

মঈন খান বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের আগে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার যে ইচ্ছা, সেই ইচ্ছার যে ধারাবাহিকতা এবং আজ এই ২০২৫ সালে এসে নতুন প্রজন্মের ভোট দেওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা, মানুষের প্রত্যাশা—সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন কিন্তু দেশের মানুষ অবিলম্বে দেখতে চায়। তিনি বলেন, দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিতে ‘ভোট দেওয়ার’ জন–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন মানুষ অবিলম্বে দেখতে চায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আসুন, আমরা এই বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে নিয়ে যাই, আমাদের একুশের আদর্শটা আমরা উজ্জ্বল করে রাখি আমাদের ইতিহাসে।’

ভাষা আন্দোলনসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আবদুল মঈন খান।

মঈন খানের সভাপতিত্বে এবং দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মঈন খ ন সরক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শেষ পর্যন্ত কোনো অগণতান্ত্রিক কিংবা অপশক্তির কাছে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণের পথে হাটতে হয় কি-না, এমন শঙ্কাও জানিয়েছেন তারেক রহমান। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন বিপদের কথাও স্মরণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।’

বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।’

দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তবে তাঁর বিশ্বাস, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তাঁর দল।

তারেক রহমান বলেন, ‘দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।’

প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি