Samakal:
2025-05-01@11:38:27 GMT

কারখানা বিক্রির গুজবে সড়ক অবরোধ

Published: 20th, February 2025 GMT

কারখানা বিক্রির গুজবে সড়ক অবরোধ

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানা বিক্রি করে দেওয়ার গুজবে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা সড়ক থেকে সরে যান। 
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কারওয়ান বাজার এলাকার টু-পাস নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মাওনা-কালিয়াকৈর সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ব্যস্ত এ সড়কের দু’দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিকেল ৫টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান। 
শ্রমিকরা জানান, ওসমান গ্রুপের টু-পাস কারখানায় ১ হাজার ২০০ শ্রমিক কর্মরত। হঠাৎ করেই তারা খবর পান চায়না কোনো মালিকের কাছে কারখানাটি বিক্রি করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর শ্রমিকদের কারখানায় ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছিল না। আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধের দাবি নিয়ে তারা আন্দোলনে নামেন। আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।
শ্রমিকরা বলেন, কারখানায় চীনা নাগরিকদের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বশীল জায়গায় বসানো হয়েছে। মালপত্র সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে। এতে তারা অনিশ্চয়তায় পড়েন। তাই শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ৩ মাস ১৩ দিনের মূল বেতনসহ অন্যান্য সব পাওনা আদায়ের দাবি নিয়ে তারা সড়কে নামেন। 
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শফিকুল ইসলাম রোকন বলেন, কারখানা বিক্রি করা হয়নি। চায়না মালিকের সঙ্গে যৌথ ব্যবসার চুক্তি হয়েছে। এতে শ্রমিকদের কোনো সমস্যা নেই। শ্রমিকদের কোনো বেতন ভাতাও বকেয়া নেই। তিনি বলেন, আগামী রোববার মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বৈঠক হবে। 
শ্রীপুর থানার চকপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর হাসমত উল্লাহ জানান, শ্রমিকরা প্রথমে ভুল বুঝে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে তাদের বিষয়টি বোঝানোর পর রাস্তা থেকে সরে যান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা

গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।

সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।  

সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন  বলে জানা যায়।

একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
 
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'

আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি। 

এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন।  কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন? 

ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।' 

সম্পর্কিত নিবন্ধ