জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে আজ রোববার সময়ের আরজি জানান দুদকের আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.

আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বিষয়টি ‘নট টুডে’ (আজ রোববার নয়) রাখেন। আদালত বলেছেন, একসঙ্গে শুনানি হবে।

মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এর আগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিষয়টি উল্লেখ করে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, দুদক লিভ টু আপিল করেছে। একসঙ্গে শুনানি জন্য সময়ের আরজি জানান তিনি।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের সঙ্গে দুদকের করা লিভ টু আপিল আগামী রোববার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসবে।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া এবং অপর দুজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। মামলা থেকে খালাস পান খালেদা জিয়া ও অপর দুজন। এই দুজন হলেন হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ চলতি মাসে লিভ টু আপিল করে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার দুদক একটি লিভ টু আপিল করে। এই দুই লিভ টু আপিলের ওপর এখন আপিল বিভাগে একসঙ্গে শুনানি হতে যাচ্ছে।
দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদকের আবেদনটি কার্যতালিকায় ছিল না। তাই রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের সঙ্গে ট্যাগ করে একসঙ্গে শুনানির জন্য আরজি জানিয়ে সময় চাওয়া হয়। একসঙ্গে শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহে আসবে।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। একই সাজা হয় অপর আসামিদের।

বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

এর ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা। আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন গত বছরের ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে এই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ন ন র জন য র ষ ট রপক ষ র আইনজ ব একসঙ গ বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে দেশের মানুষ সন্দিহান হচ্ছে। দেশের প্রতিটি ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেটিকে বর্তমানে উপস্থাপন করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনা জাতিকে প্রতারিত করেছিল, কিন্তু এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে—এটা লজ্জাজনক।’

আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন কায়সার কামাল।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, ‘জুলাই সনদের কিছু অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২৬০ দিনের মধ্যে যদি সংবিধানে সন্নিবেশিত করা না হয়, তাহলে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সন্নিবেশিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও এ ধরনের নজির নেই। তাই প্রতারণা বন্ধ করে অবিলম্বে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ জাতির সামনে উপস্থাপন করেন। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের মানুষ ছাড় দেয়, কিন্তু ছেড়ে দেয় না। ফ‍্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এর উৎকৃষ্ট নজির।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে কায়সার কামাল বলেন, ‘যে ভোটের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছিল, সেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে দেশের মানুষ সন্দিহান হচ্ছে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা করলে আইনজীবী সমাজ মেনে নেবে না।’

আইন উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে কায়সার কামাল বলেন, ‘দেশের মানুষ আইনের শাসনে বিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমান আইন উপদেষ্টা মাঝেমধ্যেই জুডিশিয়ারি বিষয়ে তির্যক মন্তব্য করছেন। দেশের আইনজীবী সমাজ এটা ভালোভাবে নিচ্ছে না, থামুন। না হলে আইনজীবী সমাজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এনায়েতুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব মমরুজুল হাসান, আইনজীবী নেতা নূরুল হক, রেজাউল করিম চৌধুরী, মাসুদ তানভীর তান্না প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত
  • পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনো–কাণ্ডের সেলিম প্রধান রিমান্ডে
  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল