জাতীয় হিফজ ও সিরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
Published: 28th, February 2025 GMT
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতার আদলে শিগগিরই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জাতীয় হিফজ ও সিরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সৌদি আরবের মতো সিরাত পুরস্কার প্রবর্তন করারও পরিকল্পনা আছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, এ দেশে বিগত সময়ে ইসলামী সংস্কৃতির চর্চাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু, বর্তমানে সরকার ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির চর্চাকে উৎসাহ দিচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
তিনি ইসলামী মূল্যবোধকে ধারণ করে আদর্শ মানুষ হতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান।
মেয়েদের সাফল্য তুলে ধরে ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিউল আলম, ধর্ম সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বক্তব্য দেন। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক ও ওলামায়ে কেরামরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ক্বিরাত, হামদ-নাত, আজানসহ মোট সাতটি বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হয়। দুটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ৬২ জনকে পুরস্কার হিসেবে রৌপ্য পদক ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া, দুই জন বিজয়ীকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়।
উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সেরা প্রতিযোগীদেরকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার ডে রান ২০২৫’ অনুষ্ঠিত
ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার ডে রান ২০২৫ পাওয়ার্ড বাই রেনাটা পিএলসি। ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটা অংশ বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার অন্যতম সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সুবিধাবঞ্চিত রোগী এবং বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের দরিদ্র, অসহায় ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবায় দেওয়া হয়েছে।
অনুদান হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গোলাম রাহমান, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ট্রেজারার মোহাম্মদ এম এ জলিল, বিশেষজ্ঞ ক্যান্সার চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবুল আহসান দিদার, ডা. ফারহানা ফেরদৌসি, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের শিশু ক্যান্সার ও রক্তরোগ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. বেলায়েত হোসাইন, ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক, ও রেনাটা পিএলসির হেড অব মার্কেটিং (অনকোলজি ও হেমাটোলজি) আমীর আবদুল্লাহসহ অন্যান্যরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।