যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২৯ মাদক কারবারিকে তুলে দিল মেক্সিকো
Published: 28th, February 2025 GMT
মেক্সিকোর অপরাধ জগতের শীর্ষ কয়েক ব্যক্তিসহ ২৯ মাদক কারবারিকে বৃহস্পতিবার প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। এসব কারবারির মধ্যে বয়স্ক কিছু ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা কয়েক দশক ধরে কোকেন ও হেরোইন পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত। মাদক কারবারি চক্রে জড়িত কিছু তরুণকেও প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে ফেন্টানিলের মতো ভয়ানক মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের একসঙ্গে এত বেশি মাদক কারবারিকে তুলে দেওয়াটা কিছুটা বিস্ময়কর। তবে মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে সর্বাত্মক শুল্ক আরোপের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর উত্তর আমেরিকার দেশটির এই সিদ্ধান্তের কারণ অনুমান করা যায়। আগামী ৪ মার্চ থেকে মেক্সিকোর ওপর শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সরকার ঘোষণা দেওয়ার আগেই এত বেশি মাদক কারবারি প্রত্যর্পণের খবরটি সবার আগে প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি এক বিবৃতিতে মেক্সিকোর ২৯ আসামিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
যেসব মাদক কারবারিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, তাঁদের অন্তত দুজনকে শুক্রবার ব্রুকলিন ফেডারেল আদালত ওঠানোর কথা রয়েছে। এই দুই ব্যক্তির একজন রাফায়েল ক্যারো কুইন্টেরো। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একজন মাদকবিরোধী এজেন্ট হত্যার জন্য যাঁদের দায়ী করা হয়, রাফায়েল তাঁদের মধে৵ একজন।
আরও যেসব ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, তাঁদের আরেকজন হলেন আন্তোনিও ওসেগুয়েরা সার্ভান্তেস। তিনি মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট নেমেসিও ওসেগুয়েরা সার্ভান্তেসের ভাই। নেমেসিও প্রভাবশালী জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলের (সিজেএনজি) নেতা।
এল মেনচো নামে পরিচিত নেমেসিও সম্পর্কে তথ্য দিতে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সিজেএনজির পাশাপাশি সিনালোয়া কার্টেলকেও প্রভাবশালী মাদক কারবারি গ্যাং মনে করে ওয়াশিংটন। ফেন্টানিল সহজলভ্য হওয়ার সঙ্গে এই চক্র জড়িত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে গড়ে ৬৫ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে প্রত্যর্পণ করেছে মেক্সিকো।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স