যবিপ্রবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৫ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
Published: 1st, March 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।  
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে কবি নজরুল একাডেমিক ভবন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করে তাপসী রাবেয়া হল, শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান জিমনেসিয়াম রাখা হয়েছে।
এছাড়া ড.                
      
				
এদিকে একই রিজেন্ট বোর্ডের সভায় যবিপ্রবি ঝিনাইদহের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ভেটেরিনারি ছাত্র হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কবি গোলাম মোস্তফা হল।
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, শেখ পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন নাম আহ্বান করে ও পরবর্তীতে যবিপ্রবির ১০৫তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে শেখ পরিবারের নামে থাকা স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ পর ব র র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক