ইংল্যান্ডের হারে ষষ্ঠ বাংলাদেশ, পাচ্ছে বাড়তি ৩ কোটি টাকা
Published: 2nd, March 2025 GMT
তাদের জন্য সমীকরণ কিছুই ছিল না। শুধু আফগানিস্তানের জন্য অসম্ভব একটা অঙ্ক ছিল ম্যাচে। যেখানে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড অন্তত পক্ষে ২০৭ রানের ব্যবধানে জিতলে সেমিতে যেতে পারত আফগানরা, সেখানে গতকাল করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭৯ রানে! এ রান তাড়া করতে নেমে ১২৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পেয়ে প্রোটিয়ারা হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে শূন্য হাতেই ফিরছে ইংলিশরা। অধিনায়ক যশ বাটলার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এটাই তাঁর অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচ, যেখানে তিনি মাত্র ২১ রান করতে পারেন।
অবশ্য ইংল্যান্ডের হারে বাংলাদেশের একটু লাভ হয়েছে বৈকি। আসরের ছয় নম্বর দল হয়েছেন শান্তরা। তাতে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচ্ছেন তারা।
আইসিসির নির্ধারিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই শুধুমাত্র টুর্নামেন্টে খেললেই পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা)। এছাড়া ৭ম ও ৮ম স্থান অধিকারী দল দুটি পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) করে। তবে ইংল্যান্ডের হারে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করে এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা) প্রাইজমানি পাচ্ছে। সাথে অংশগ্রহণ বাবদ পাওয়া দেড় কোটি টাকা যোগ করলে মোট আয় দাঁড়াবে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা ৭ম বা ৮ম স্থান অর্জনের চেয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা বেশি।
আসরের সেমিতে ওঠা চার দল হলো ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, সাতে পাকিস্তান আর আটে ইংল্যান্ড। তবে সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি হবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। আজ দুবাইয়ে ভারত আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা ও রানার্সআপ ঠিক হবে। আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাহলো মঙ্গলবার দুবাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে ভারত। বুধবার লাহোরে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে নিউজিল্যান্ড।
গতকাল করাচি থেকে ম্যাচ শেষ করেই দুবাই রওনা দেওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া দলের। সোমবার তাদের কোনো একটি দল ফিরে আসবে লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার জন্য। এদিন করাচিতে একেবারেই বাজে ব্যাটিং করে ইংলিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন কেবল জো রুট। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন পেসার মার্কো জেনসেন। রান তাড়া করতে নেমে ডুসেন ৭২ আর ক্লাসেন ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল আফগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।