এআই ২০৩০ দশকে মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে, ধারণা ইলন মাস্কের
Published: 3rd, March 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভবিষ্যতে মানুষের চেয়েও স্মার্ট হবে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর ফলে এআই মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স নামের এক পডকাস্টে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, এআই মানুষের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট হবে। মানুষের অস্তিত্বের ঝুঁকি হতে পারে এআই। আর এই শঙ্কা সত্যি হতে চলেছে।’
এআইয়ের সক্ষমতা নিয়ে ইলন মাস্কের এখনো কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। তাঁর মতে, এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতা বিনাশের সম্ভাবনা ২০ শতাংশ হতে পারে। এবারই প্রথম নয়, গত বছর নরজেস ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকোলাই ট্যানজেনের সঙ্গে আলোচনাকালে এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতা ধ্বংসের সম্ভাবনা নিয়ে নিজের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। সে সময় তিনি বলেন, ‘এআই আগামী দুই বছরে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে। আশা করা যায় ২০২৯ বা ২০৩০ সালে এআই এমন একটি স্তরে পৌঁছাবে, যা সব মানুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট হবে। এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব ধ্বংসের সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ শতাংশ।’
আরও পড়ুন২৬ বছর আগের ইলন মাস্কের যে ‘প্রলাপ’ এখন বাস্তব ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইলন মাস্কসহ প্রযুক্তি–দুনিয়ার অনেকেই এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা প্রকাশ করেছেন। নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টনের মতে, এআইয়ের কারণে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানবসভ্যতা বিলুপ্তির সম্ভাবনা ১০ শতাংশের মতো। অপর দিকে এআই নিরাপত্তা গবেষক রোমান ইয়াম্পলস্কির মতে, এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতা ধ্বংসের সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশ।
আরও পড়ুনপৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কীভাবে পরিচালিত হয় ইলন মাস্কের স্টারলিংক২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতা ধ্বংসের সম্ভাবনা থাকলেও ইলন মাস্ক অলাভজনক ওপেন সোর্সনির্ভর এআই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালে। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম সহ–প্রতিষ্ঠাতাও ইলন মাস্ক। বিভিন্ন কারণে চ্যাটজিপিটি ছেড়ে এলেও নিজের মালিকানাধীন এক্স এআইয়ের মাধ্যমে গ্রোক এআই চ্যাটবট তৈরি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
আরও পড়ুনইলন মাস্কের পাঁচটি ব্যর্থতা এবং সেসব কাটিয়ে ওঠার গল্প০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক র
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।
মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস