ফতুল্লায় নারী প্রতারক বিথীর খপ্পড়ে পড়ে নিঃস্ব যুবক
Published: 3rd, March 2025 GMT
ফতুল্লার কাশীপুরে বিথী নামের এক নারী প্রতারকের ধারাবাহিক খপ্পড়ে পড়ে সব হারিয়েছে এক যুবক। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একসঙ্গে বসবাস করে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে ওই প্রতারক নারী ও সহযোগীরা।
প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় বিথী ও তার সহযোগী ইসমাইলসহ আরও কয়েকজন।
এর আগেও বিথীর ফাঁদে পড়ে এমন প্রতারণার শিকার হয়ে কাশীপুরের মনির হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন শাকিল আদালতের শরনাপন্ন হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের একটি সিআর (নং-৪৯৯) মামলা করে। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শামীম তা তদন্ত করেন। পরবর্তীতে চতুর বিথী ও তার সাঙ্গরা বিষয়টি রফাদফার শর্তে ক্ষমা চেয়ে নিষ্পত্তি করে।
প্রতারণার শিকার যুবকে শাকিলের অভিযোগ, বিথী, ইসমাঈলসহ আরো কয়েকজন মিলে একটি সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র রয়েছে। বিথী নিরীহ যুবকদের প্রেমের ফাঁদের ফেলে কাবু করে। পরে তাদের দলের অন্য সদস্যরা মিলে ব্লাকমেইলিং করে টাকা-পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণ ও দামী জিনিষপত্র হাতিয়ে নেয়।
এর আগেও একবার শাকিলের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা ঘটে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু এরমধ্যে আবার চালাকি করে বিথী আমার কাছে ফিরে আসে।
আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে নতুন করে প্রতারণার জাল ফেলে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আমার ঘরে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণের গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিথীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাবার পরে ফোনটি কেটে দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ স বর ণ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।