৯ জানুয়ারি সিনেমাটির মোশন পোস্টার প্রকাশ পায়। দর্শকদের মাঝে আলোচনায় জায়গা করে নেয় সিনেমাটি। পোস্টারে সিয়ামকে দেখা যায় তামাটে মুখমণ্ডলে ময়লাটে দাড়ি, এলোমেলো চুল, জিবে লেগে রয়েছে তাজা রক্তের ছাপ, চোখ থেকে বের হচ্ছে বুনো উল্লাস; যেন ‘জংলি’রূপেই হাজির হয়েছেন অভিনেতা। সিনেমাটি নিয়ে সিয়াম বলেন, ‘মোশন পোস্টার ও রিলিজ ডেট অ্যানাউন্সমেন্টের পরে আমাদের সিনেমা নিয়ে দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচ্ছ্বাসে আমরা মুগ্ধ!’ কদিন আগে প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে, ইমরানের সংগীতায়োজনে, তাহসান ও আতিয়া আনিশার কণ্ঠে ‘জংলি’ সিনেমার প্রথম গান ‘জনম জনম’ মুক্তি পেয়েছে।

গত বছর অক্টোবরে অনেকটা গোপনেই শুরু হয় শাকিবের ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং। তখন অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা গিয়েছিল সিনেমাটি এ বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে পারে। তবে ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই দর্শকদের উত্তেজনা ও আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয় সিনেমাটির ২০ সেকেন্ডের মোশন পিকচার। সেখানে শাকিব খানকে দেখা যায় রক্তমাখা হাতে পিস্তল। তিনি বসে আছেন বিলাসবহুল গাড়ির ওপর। কারও উদ্দেশে যেন বলছেন, ‘চুপ।’ পেছনে দাউ দাউ করে পুড়ছে অট্টালিকা। পোড়া অট্টালিকার ওপর দিয়ে চক্কর দিচ্ছে হেলিকপ্টার! সেই থেকে শুরু হয় ঈদ উপলক্ষে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক প্রচার।

‘বরবাদ’ ছবির প্রথম ঝলকে এভাবেই ধরা দিলেন শাকিব খান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ