ঈদের ৯ সিনেমা, শাকিব, নিশো, সিয়াম নাকি বুবলী, ফারিয়ারা এগিয়ে
Published: 7th, March 2025 GMT
৯ জানুয়ারি সিনেমাটির মোশন পোস্টার প্রকাশ পায়। দর্শকদের মাঝে আলোচনায় জায়গা করে নেয় সিনেমাটি। পোস্টারে সিয়ামকে দেখা যায় তামাটে মুখমণ্ডলে ময়লাটে দাড়ি, এলোমেলো চুল, জিবে লেগে রয়েছে তাজা রক্তের ছাপ, চোখ থেকে বের হচ্ছে বুনো উল্লাস; যেন ‘জংলি’রূপেই হাজির হয়েছেন অভিনেতা। সিনেমাটি নিয়ে সিয়াম বলেন, ‘মোশন পোস্টার ও রিলিজ ডেট অ্যানাউন্সমেন্টের পরে আমাদের সিনেমা নিয়ে দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচ্ছ্বাসে আমরা মুগ্ধ!’ কদিন আগে প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে, ইমরানের সংগীতায়োজনে, তাহসান ও আতিয়া আনিশার কণ্ঠে ‘জংলি’ সিনেমার প্রথম গান ‘জনম জনম’ মুক্তি পেয়েছে।
গত বছর অক্টোবরে অনেকটা গোপনেই শুরু হয় শাকিবের ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং। তখন অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা গিয়েছিল সিনেমাটি এ বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে পারে। তবে ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই দর্শকদের উত্তেজনা ও আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয় সিনেমাটির ২০ সেকেন্ডের মোশন পিকচার। সেখানে শাকিব খানকে দেখা যায় রক্তমাখা হাতে পিস্তল। তিনি বসে আছেন বিলাসবহুল গাড়ির ওপর। কারও উদ্দেশে যেন বলছেন, ‘চুপ।’ পেছনে দাউ দাউ করে পুড়ছে অট্টালিকা। পোড়া অট্টালিকার ওপর দিয়ে চক্কর দিচ্ছে হেলিকপ্টার! সেই থেকে শুরু হয় ঈদ উপলক্ষে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক প্রচার।
‘বরবাদ’ ছবির প্রথম ঝলকে এভাবেই ধরা দিলেন শাকিব খান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ