ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। মূলত, শাকিব খানকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব বহু দিন ধরে চলছে। যদিও শাকিব খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন— অপু-বুবলী দুজনেই তার অতীত। দুজনের কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় শবনম বুবলী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি রিলস ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যায়, শাকিব-বুবলীর পুত্র শেহজাদ পেন্সিল দিয়ে খাতায় বাবা-মায়ের নাম লিখছে। ক্যাপশনে বুবলী লেখেন, “বাপজানের প্রথম হাতের লেখা। সবাই দোয়া করবেন আমাদের শেহজাদ বাবার জন্য।” ছোট্ট শেহজাদের হাতের লেখা দেখে নেটিজেনদের অনেকে প্রশংসাও করছেন।

এদিকে, ইফতারের পর অপু বিশ্বাস তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এই নায়িকা লেখেন, “এক মা তার মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া সন্তানের জন্য হাহাকার করে মরছে। আরেক মায়ের আদিখ্যেতা উপচে পড়ছে।” অপু বিশ্বাসের এই বক্তব্য তার ভক্তদের কেউ কেউ সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন। অনেকে এটিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলছেন।

আরো পড়ুন:

সবকিছু ভেঙেচুরে বরবাদ হয়ে যাচ্ছে: বুবলী

পিনিকের খাঁচায় বন্দি বুবলী!

নেটিজেনদের ভাষ্য— “অপু বিশ্বাস তার পোস্টে দুজন মায়ের কথা বলেছেন। একজন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যাটির মা, অন্যজন শেহজাদের মা (বুবলী)। ধর্ষণের শিকার শিশুটি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ নিয়ে গোটা দেশ ভীষণভাবে ক্ষতবিক্ষত। আর এই পরিস্থিতিতে বুবলী তার পুত্রের ভিডিও পোস্ট করেছেন। এটিকে অপু বিশ্বাস ‘আদিখ্যেতা’ বলেছেন।”

কেউ কেউ অপুর পোস্টের কমেন্ট বক্সে লিখেছেন— “আরেক সতিন এতকিছুর মধ্যেও সতিনের দিকে হিংসার নজর রাখছে।” এমন অনেক মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। তবে এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য দেননি অপু কিংবা বুবলী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ