অপু বিশ্বাসের হাতে এখন কোনো ছবি নেই। তারপরও ব্যস্ত সময় পার করছেন এই চিত্রনায়িকা। বিভিন্ন পণ্যপ্রতিষ্ঠানের প্রচারণার পাশাপাশি নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়েই তাঁর এই ব্যস্ততা। তবে এই নায়িকা হুটহাট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দেন। কখনো তিনি ইঙ্গিতে শবনম বুবলীকে খোঁচা মারেন। আবার শবনম বুবলীও কম যান না, তিনিও বিভিন্ন সময় কৌশলে অপু বিশ্বাসকে খোঁচা মারেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর অপু বিশ্বাসের দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট তেমনই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই পোস্টের মাধ্যমে ইঙ্গিতে চিত্রনায়িকা বুবলীকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি।

কারণ হিসেবে নেটিজেনরা জানিয়েছেন, শবনম বুবলী ফেসবুকে একটি রিলস ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, শাকিব-বুবলীর ছেলে শেহজাদ পেনসিল দিয়ে খাতায় মা–বাবার নাম লিখছে।

ক্যাপশনে বুবলী লেখেন, ‘বাপজানের প্রথম হাতের লেখা। সবাই দোয়া করবেন আমাদের শেহজাদ বাবার জন্য।’ ছোট্ট শেহজাদের হাতের লেখা দেখে নেটিজেনদের অনেকে প্রশংসাও করছেন।

বুবলীর এমন পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর অপু বিশ্বাস ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যাতে লেখা ছিল, ‘এক মা তাঁর মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া সন্তানের জন্য হাহাকার করে মরছে। আরেক মায়ের আদিখ্যেতা উপচে পড়ছে।’ অপু বিশ্বাসের এমন পোস্টে বক্তব্য তাঁর ভক্তদের কেউ কেউ সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন। অনেকে এটিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলছেন।

অপু বিশ্বাস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ