প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
Published: 12th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল তাদের বাংলাদেশ অফিসে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ঢাকায় প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট-চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ লিডারশিপ (সিওয়াইএল) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট-সিওয়াইএল
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: সমাজবিজ্ঞান, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা এ ধরনের বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অন্তত আট বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ লিডারশিপ প্রোগ্রামিংয়ে অন্তত পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় অন্তত তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিওয়াইএল ইস্যু বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনায় অন্তত তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস, ঢাকা
বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: মাসিক বেতন ১,৪৭,১০৬ থেকে ১,৮৩,৮৮৩ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে)। এ ছাড়া জীবনবিমা ও চিকিৎসার সুবিধা আছে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে গিয়ে নিয়োগ ও আবেদনের বিস্তারিত প্রক্রিয়া জেনে নিতে হবে। এরপর একই লিংকের Apply Now বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ মার্চ ২০২৪।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।
হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।
যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।