অটোরিকশায় যাচ্ছিল কোচিংয়ে, বাসচাপায় চালক ও দুই ভাই-বোন নিহত, অন্য শিক্ষার্থী আহত
নুসরাত/২০০৭৬
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থী ও অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সদরে এ ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দোহাজারীতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী গ্রামের জসিম উদ্দিনের দুই সন্তান সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওকারউদ্দিন (১২) ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা (১৫) ও জামিজুরী গ্রামের অটোরিকশাচালক রুহুল আমিন (৪৫)। এ সময় তুসিন (১৫) নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকালে রুহুল আমিনের অটোরিকশায় বাড়ি থেকে কোচিংয়ে যাচ্ছিল তিন শিক্ষার্থী। এ সময় চট্টগ্রামমুখী পূরবী পরিবহনের যাত্রীবাহী চেয়ারকোচ অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ওকারউদ্দিন ও রুহুল আমিন। গুরুতর আহত উম্মে হাবিবাকে প্রথমে দোহাজারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, বাসচাপায় ঘটনাস্থলে দুজন নিহত ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ