Samakal:
2025-09-18@03:33:29 GMT

আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই

Published: 15th, March 2025 GMT

আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে রাখাইন গণহত্যার বিচার চাইলেন রোহিঙ্গারা। পাশাপাশি তারা মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা গুতেরেসকে বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকার আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তখন বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই দেশে আর কত বছর থাকব? আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই। মিয়ানমার আমাদের দেশ।’ 

গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জাতিসংঘ মহাসচিবকে এসব কথা বলেন তারা। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত লার্নিং সেন্টারে এসব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন মহাসচিব। এ সময় নারী-শিশুরাও তাদের নানা দাবি তুলে ধরেন। এর পর মহাসচিব ঘুরে দেখেন রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার। অনেকটা আকস্মিকভাবে রোহিঙ্গাদের ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। নিজ চোখে দেখেন তাদের মানবেতর জীবনের চিত্র। জাতিসংঘ মহাসচিবকে কাছে পেয়ে অনেক নারী-শিশু তুলে ধরেন তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা।

আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের সমকালকে জানান, রোহিঙ্গারা জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেছেন, ‘২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার বাহিনী যেভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা দেখে পুরো দুনিয়ার মানুষ কেঁদেছে। সেই গণহত্যার বিচার চাই। সেদিন মিয়ানমার বাহিনী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়ে ভেবেছিল, তারা রাখাইন রাজ্যকে রোহিঙ্গামুক্ত করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা জন্মভূমি আরাকান কাউকে লিজ দিয়ে আসেনি। যে কোনোভাবে রোহিঙ্গারা আরাকানে ফিরতে চায়। বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে দাবি, রোহিঙ্গাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিন।’

এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিউনিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তারা অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। তারা বাংলাদেশের নন, মিয়ানমারের নাগরিক।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’