Samakal:
2025-08-01@09:19:15 GMT

আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই

Published: 15th, March 2025 GMT

আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে রাখাইন গণহত্যার বিচার চাইলেন রোহিঙ্গারা। পাশাপাশি তারা মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা গুতেরেসকে বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকার আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তখন বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই দেশে আর কত বছর থাকব? আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই। মিয়ানমার আমাদের দেশ।’ 

গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জাতিসংঘ মহাসচিবকে এসব কথা বলেন তারা। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত লার্নিং সেন্টারে এসব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন মহাসচিব। এ সময় নারী-শিশুরাও তাদের নানা দাবি তুলে ধরেন। এর পর মহাসচিব ঘুরে দেখেন রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার। অনেকটা আকস্মিকভাবে রোহিঙ্গাদের ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। নিজ চোখে দেখেন তাদের মানবেতর জীবনের চিত্র। জাতিসংঘ মহাসচিবকে কাছে পেয়ে অনেক নারী-শিশু তুলে ধরেন তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা।

আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের সমকালকে জানান, রোহিঙ্গারা জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেছেন, ‘২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার বাহিনী যেভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা দেখে পুরো দুনিয়ার মানুষ কেঁদেছে। সেই গণহত্যার বিচার চাই। সেদিন মিয়ানমার বাহিনী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়ে ভেবেছিল, তারা রাখাইন রাজ্যকে রোহিঙ্গামুক্ত করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা জন্মভূমি আরাকান কাউকে লিজ দিয়ে আসেনি। যে কোনোভাবে রোহিঙ্গারা আরাকানে ফিরতে চায়। বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে দাবি, রোহিঙ্গাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিন।’

এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিউনিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তারা অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। তারা বাংলাদেশের নন, মিয়ানমারের নাগরিক।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। 

আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’

ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। 

গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তত রয়েছে। তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাধা দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্বকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর হতে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ এবং একটি স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম করতে জাতিসংঘের সদস্যদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাইলেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ হাজার ছাড়াল
  • গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি রেজাউল করীমের