ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনে একাদশ নির্বাচনে ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এতে প্রায় বিএনপির ১০ হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। 

সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণস্কুল মাঠে আয়োজিত ইফতার পূর্বে আলোচনায় ফিরোজ বলেন, এদেশের মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও এরশাদকে বিতাড়িত করেছে। শেখ হাসিনার পতনের পরও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। যারা দায়িত্বে আছেন, তারা দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হলেও তবে গণতন্ত্র ফিরবে।

তিন আরও বলেন, একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী ভোট চেয়ে বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে। এদেশে মৌলবাদের কোনো আশ্রয় হবে না। তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে শান্ত থাকতে বলেছেন।
 
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা.

নুরুল ইসলাম। মাহফিলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, ইলিয়াস রহমান মিঠু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম তোতা, আনোয়ার হোসেন, অহেদ লস্কর, জবেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ ব এনপ ইফত র ল ইসল ম ব এনপ র উপজ ল ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি