জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো ক্যানভাস ও অডিও ওভারভিউ সুবিধা
Published: 20th, March 2025 GMT
নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে ‘ক্যানভাস’ ও ‘অডিও ওভারভিউ’ নামের দুটি সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল। নতুন সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে বর্তমানের তুলনায় আরও সহজে গবেষণা, কনটেন্ট ও সফটওয়্যার তৈরিসহ দলগতভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আমরা আজকে জেমিনি অ্যাপে “ক্যানভাস” ও “অডিও ওভারভিউ” সুবিধা চালু করছি। অডিও ওভারভিউর মাধ্যমে নথি, স্লাইড ও গবেষণা প্রতিবেদনকে পডকাস্টের মতো করে শোনার সুবিধা মিলবে। আর ক্যানভাসের সাহায্যে দ্রুত প্রোটোটাইপ তৈরি করা যাবে। জেমিনিতে রিয়েল টাইমে সম্পাদনার সুযোগ পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুনজিমেইলে জেমিনি চ্যাটবটের কার্যক্রম বন্ধ করবেন যেভাবে০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গুগলের তথ্যমতে, ক্যানভাস সুবিধাটি মূলত লেখালেখি ও প্রোগ্রামের কোড লেখার কাজ সহজ করতে তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি ইন্টার–অ্যাকটিভ টুল, যেখানে ব্যবহারকারীরা রিয়েল টাইমে নথি বা কোড লিখতে, সম্পাদনা করতে ও দ্রুত খসড়া তৈরি করতে পারবেন। গুগল ডকুমেন্টসে এক্সপোর্ট করার সুবিধা থাকায় এটি দলগত কাজ ও শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনস্মার্টফোন লক থাকলেও মুখের কথায় ফোনকল করে দেবে জেমিনি চ্যাটবট, বার্তাও পাঠাবে১০ জানুয়ারি ২০২৫অডিও ওভারভিউ সুবিধাটি নথি, স্লাইড ও গবেষণা প্রতিবেদনকে পডকাস্টের মতো অডিও কনটেন্টে রূপান্তর করতে পারে। এই সুবিধা ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ফাইল আপলোড করতে হবে। এরপর জেমিনি সেই ফাইলের সারসংক্ষেপ তৈরি করে একটি অডিও ওভারভিউ দেবে, যা ব্যবহারকারীরা চলতি পথে শুনতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে অডিও ওভারভিউ সুবিধাটি শুধু ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।