কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সক্ষমতার বিভিন্ন ঝলক দেখা যাচ্ছে। আর তাই এ প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়েও অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এআই প্রযুক্তি বিভিন্ন কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানুষের বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারও আবার ধারণা, ভবিষ্যতে এআই মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে মানুষই এআই নিয়ন্ত্রণ করবে। সুপার ইন্টেলিজেন্স আসছে, তবে তা মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে না আপাতত।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এনভিডিয়ার জিটিসি সম্মেলনে লেকুন বলেন, ‘এআই মানুষকে প্রতিস্থাপন করছে না। আমি মনে করি না এআই মানুষের বিরুদ্ধে চলে যাবে। সুপার ইন্টেলিজেন্সসহ ভবিষ্যতের এআই সিস্টেমের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থাকবে। আমরা এআইয়ের নিয়ন্ত্রক হতে যাচ্ছি। আমাদের জন্য সুপার ইন্টেলিজেন্স মানুষের মতোই কর্মী হিসেবে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি আমাদের জন্যই কাজ করবে।’

আরও পড়ুনএআই প্রযুক্তি দিয়ে প্রতারণা বাড়ছে জিমেইলে, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গত কয়েক বছর ধরেই ওপেনএআইয়ের স্যাম অল্টম্যান ও এক্সএআইয়ের ইলন মাস্কসহ অনেক প্রযুক্তিবিদ এআইয়ের কারণে সুপার ইন্টেলিজেন্সের আবির্ভাবের কথা বলছেন। তাঁদের মতে, মানুষের চেয়ে শক্তিশালী একটি এআই সিস্টেম যেকোনো সময় আবির্ভূত হতে পারে। এতে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের যেমন সম্ভাবনা আছে, তেমনি মানুষের বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

আরও পড়ুনঅফিসে কর্তা হিসেবে কে ভালো, মানুষ না এআই?০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প র ইন ট ল জ ন স

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা

মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির  গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।

মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা