ঢাকাই চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী শবনম বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ ২১ মার্চ। পাঁচ বছরে পা রেখেছে সে। ছেলের জন্মদিনে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন বাবা শাকিব খান। পাশাপাশি তার  জন্য দোয়া করেছেন।

আজ শুক্রবার ২১ মার্চ দুপুরে ফেসবুকে বীরের পুরনো একটি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানান শাকিব । সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন আমার ছোট্ট রাজকুমার। বড় হয়ে একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হও। মহান আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করি, পৃথিবীর সব সুখ আর সফলতাকে যেন তুমি স্পর্শ করতে পারো তোমার জীবনে। মনে রেখো, যখনই তোমার আমাকে প্রয়োজন হবে, আমি সবসময় তোমার পাশে আছি, ভালোবাসি!’ 

২০১৬ সালে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী। পরে শাকিবের জুটি হয়ে কাজ করেছেন ডজন খানের সিনেমার। ২০১৯ সালে ‘বীর’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন শাকিব -বুবলী। ওই সময়ই ছড়িয়ে পড়ে বুবলী অন্তঃসত্ত্বা। তার গর্ভে শাকিব খানের সন্তান।  এরপরই আড়ালে চলে যান বুবলী। সন্তান বীরের জন্মেরও বেশ কিছুদিন পর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে জানানো হয়, গোপনে বিয়ে করেছিলেন বুবলী ও শাকিব। 

এদিকে, শাকিব বর্তমানের ব্যস্ত আছেন ‘বরবাদ’ সিনেমার প্রচার প্রচারণা নিয়ে। আসছে ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী এই অভিনেতা।  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ