গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ এনএসইউর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
Published: 21st, March 2025 GMT
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা ও নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাঁরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীতে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর ফটকে জড়ো হয়ে ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান দেন।
এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। তাঁরা শিশু, নারীসহ নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি তাণ্ডবের নিন্দা জানান। ফিলিস্তিনিদের প্রতি পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের গণহত্যা বন্ধে ব্যর্থতার নিন্দা জানান।
বক্তারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। তাঁরা প্রতিবাদের গুরুত্ব এবং এর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপস্থিতির ওপর জোর দেন, যাতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন বক্তারা। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবাইকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দেন সিরাজুল ইসলাম, আবদুল খালেক, কাজী নাদিম, মামুন মোল্লা, নাজমুল ইসলাম, এম এন ইসলাম, মাকসুদ আলম, নাফিসা নুর প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।