ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সাজিদা ফাউন্ডেশন। আজ সন্ধ্যায় দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে ফারিয়া জানিয়েছেন, রাকিবুল হাসানকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ১৮ মার্চ শবনম ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টে সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মী রাকিবুল হাসান কু-মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে ওই যুবকের কমেন্টের স্ক্রিনশট ও ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি তুলে ধরে প্রতিবাদ জানান ফারিয়া। এর পরদিনই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। তদন্ত করে আজ সন্ধ্যায় রাকিবুলকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি জানায় প্রতিষ্ঠানটি। 

রাকিবুলের চাকরিচ্যুতির কথা ফারিয়াকে ই-মেইলের মধ্যে জানিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। নিজের ফেসবুক পোস্টে ই–মেইলটিও শেয়ার করেছেন শবনম ফারিয়া। লিখেছেন, ‘আমি খুবই কৃতজ্ঞ, বিষয়টিকে তাঁরা খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছেন। কীভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে, প্রতিষ্ঠানটি সেই উদাহরণ তৈরি করেছে।’

সহিংসতা কেবল শারীরিক নয়, এটা হতে পারে অনলাইন বা রাস্তায় হয়রানি বা অন্য যেকোনো ধরনের ভীতি প্রদর্শন। কোনোটিই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেছেন ফারিয়া।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ শবনম ফারিয়া, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, তানজিদ হাসান তামিমসহ বিভিন্ন অঙ্গনের একঝাঁক তারকা উপস্থিত ছিলেন শাকিব খানের প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে। কয়েকটি ভিডিও ক্লিপে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। এর মধ্যে একটি ক্লিপে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়, আমি তাসকিনের পাশে দাঁড়াব না। আমাকে খাটো লাগবে। তামিম ভাইয়া, তুমি আসো। শবনম ফারিয়া সেই ভিডিও ক্লিপের মন্তব্যের ঘরে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এক যুবককে। যা অভিনেত্রীসহ নেটিজেনদের দৃষ্টি এড়ায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য় শবনম ফ র য় ফ সব ক প

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ