ম্যাগনেশিয়াম

তরমুজের বীজে পাবেন বেশ কিছু খনিজ পদার্থ। এর মধ্যে একটি হলো ম্যাগনেশিয়াম। ৪ গ্রামের বীজে ২১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যাবে। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের দৈনিক যে চাহিদা, সেটার ৫ শতাংশ পূরণ করে দেবে এই বীজ। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ) প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৪২০ মিলিগ্রাম খনিজ পদার্থ গ্রহণের পরামর্শ দেয়। শরীরের অনেক বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য ম্যাগনেশিয়াম অপরিহার্য। স্নায়ু এবং পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, হৃৎপিণ্ড এবং হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি প্রয়োজন।

আরও পড়ুনইফতারে রোজ এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে দেহে যে ৫ পরিবর্তন আসবে০৯ মার্চ ২০২৫

আয়রন

একমুঠো তরমুজের বীজে প্রায় ০.

২৯ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১.৬ শতাংশ পূরণ করে। পরিমাণটা খুব বেশি মনে না–ও হতে পারে, তবে এনআইএইচ প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে মাত্র ১৮ মিলিগ্রাম আয়রন খাওয়ার পরামর্শ দেয়। আয়রন হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এটি আপনার শরীরের ক্যালরিকে শক্তিতে রূপান্তর করতেও সহায়তা করে। তবে তরমুজের বীজে ফাইটেট থাকে, যা আয়রনের শোষণ এবং এর পুষ্টিগুণ হ্রাস করে।

ভালো চর্বি

তরমুজের বীজ মানে আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। একমুঠোতে (৪ গ্রাম) যথাক্রমে ০.৩ এবং ১.১ গ্রাম গুড ফ্যাট বা উপকারী চর্বি পাওয়া যায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এ ধরনের চর্বি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কার্যকর।

তরমুজের বীজ জিংকের ভালো উৎস

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তরম জ র ব জ

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ