মালদ্বীপে যথাযোগ্য মর্যাদায় গবহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের হলরুমে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মিশনের তৃতীয় সচিব মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
প্রধান অতিথি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাতে গণহত্যায় নিহত শহীদ ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একদিন এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার চেতনা ধারন করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানান।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গণহত্যা ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে অবহিতকরণের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তোলার জন্য হাইকমিশনার সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।
সবশেষে তিনি গণহত্যায় নিহত সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।