হিলি সীমান্তে মিষ্টি পাঠাল বিজিবি, বিএসএফের ফুলেল শুভেচ্ছা
Published: 26th, March 2025 GMT
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা বিজিবিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫/১১ নম্বর পিলার–সংলগ্ন হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে।
হিলি বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অসীম মারাক বিজিবি ক্যাম্প, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, কমান্ডিং অফিসার ও স্টাফ অফিসারদের পক্ষ থেকে ভারতের ৭৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এসি রোহিত শর্মার হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে হিলি বিজিবি আইসিপি চেকপোস্ট গেটের কমান্ডার নায়েব সুবেদার এনামুল হক, নায়েব সুবেদার আবুল কালাম ও বিএসএফের হিলি সিপি গেটের পরিদর্শক অতুল রায়সহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় হিলি বিজিবি আইসিপি ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার অসীম মারাক বলেন, দুই দেশের সীমান্তে দায়িত্বরত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দুই দেশের বিভিন্ন দিবস ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মিষ্টি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ন তরক ষ ব এসএফ কম ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
দুবলারচরে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাসপূজা ও পুণ্যস্নান শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বাগেরহাট জেলার চাঁদপাই রেঞ্জ ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে বন বিভাগের স্কট টিমের সঙ্গে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের মেলা আয়োজন করা হবে না। রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরো পড়ুন:
পালকি চড়ে পূজা এলেন, বরণ করলেন চঞ্চল-নিশো
১১০০ কোটি টাকা বাজেট: আইটেম কন্যা পূজার পারিশ্রমিক কত?
সুন্দরবনের পরিবেশ, বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবির যৌথ টহল দল বনে মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে হরিণ শিকার ও অবৈধ প্রবেশ রোধে বনবিভাগ এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আজ সকাল ৮টায় চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে পুণ্যার্থীরা স্কট সহযোগে দুবলারচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। এই প্রথমবার স্কট সহযোগে যাত্রা শুরু হলো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেউ যেন বনে ঢুকে হরিণ শিকারের সুযোগ না পায়।”
বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই নৌযান চলাচল করতে হবে এবং নির্ধারিত চেকপোস্ট ছাড়া কোথাও নোঙর করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া রাখা বাধ্যতামূলক। তীর্থযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংযুক্ত করে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতিপত্রে নির্ধারিত রুট ও সিলমোহর থাকতে হবে এবং প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করতে হবে।
প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তীর্থযাত্রী দুবলারচরে সমবেত হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবছরও বন বিভাগ কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ