বিশ্বকাপ পাওয়ার র্যাঙ্কিং: শীর্ষে আর্জেন্টিনা, জার্মানির উত্থান, তলানিতে ব্রাজিল
Published: 27th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপের র্যাঙ্কিং করেছে ফুটবল বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম গোল। ওই তালিকায় শীর্ষে আছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা। প্রথম বড় দল হিসেবে বিশ্বকাপে পা রেখেছে তারা।
সংবাদ মাধ্যম গোলের বিশ্বকাপ পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে শক্ত অবস্থানে আছে স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে ব্রাজিল ও বেলজিয়াম তলানিতে চলে গেছে। এমনকি বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পাওয়া জাপানেরও পেছনে আছে ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা-স্পেনের কর্তৃত্ব: কাতার বিশ্বকাপের এক বছর আগে থেকে অসাধারণ ফুটবল খেলছে আর্জেন্টিনা। কৌশলে, পারফরম্যান্সে অনন্য তারা। এই সময়ে কাতার বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনাকে শীর্ষে না রেখে উপায় নেই। তরুণ দল নিয়ে আর্জেন্টিনার মতো ভালো ফুটবল খেলছে স্পেন। ইউরো জয়ী দলটি র্যাঙ্কিংয়ে আছে দুইয়ে। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণে ফুটবলের প্রাচুর্য ও কৌশলগত দিক থেকে ভালো হওয়ায় স্পেন ইউরোপের শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।
জার্মানি-ইতালির উত্থান: ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পর জার্মানির ফুটবল উল্ট রথে ছুটেছে। সর্বশেষ ইউরো দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে জার্মানি। তরুণ জামাল মুসিয়াল ও ফ্লোরিয়ান উইর্টজের মতো ফুটবলার নতুন দিনের আশা দিচ্ছে। জার্মানি র্যাঙ্কিংয়ে তিনে জায়গা করে নিয়েছে। চারে আছে পরপর দুই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা ফ্রান্স। তারকা ও বড় মঞ্চের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ফ্রান্সকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে ইংল্যান্ড ও ছয়ে আছে পর্তুগাল। ইতালি সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপের র্যাঙ্কিংয়ে সাতে আছে তারা। আটে নেদারল্যান্ডস ও নয়ে জাপানকে রাখা হয়েছে।
সেরা দশ ব্রাজিলের স্বান্তনা: আগামী বিশ্বকাপের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে দশে আছে ব্রাজিল। যদিও দলটির সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও ভালো নয়। তবে দলটা ব্রাজিল বলেই হয়তো তাদের সেরা দশে রাখা হয়েছে। দারুণ সব ফুটবলার থাকায় এবং পাঁচটি বিশ্বকাপ থাকায় ব্রাজিলকে র্যাঙ্কিং থেকে বাদ দেওয়ার দুঃসাহস দেখানোও কঠিন। বেলজিয়াম পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে আছে ১১তম অবস্থানে। বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্রকে রাখা হয়েছে র্যাঙ্কিংয়ে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব র জ ল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন ব শ বক প র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি