যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপের র‌্যাঙ্কিং করেছে ফুটবল বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম গোল। ওই তালিকায় শীর্ষে আছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা। প্রথম বড় দল হিসেবে বিশ্বকাপে পা রেখেছে তারা। 

সংবাদ মাধ্যম গোলের বিশ্বকাপ পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে শক্ত অবস্থানে আছে স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে ব্রাজিল ও বেলজিয়াম তলানিতে চলে গেছে। এমনকি বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পাওয়া জাপানেরও পেছনে আছে ব্রাজিল।

আর্জেন্টিনা-স্পেনের কর্তৃত্ব: কাতার বিশ্বকাপের এক বছর আগে থেকে অসাধারণ ফুটবল খেলছে আর্জেন্টিনা। কৌশলে, পারফরম্যান্সে অনন্য তারা। এই সময়ে কাতার বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনাকে শীর্ষে না রেখে উপায় নেই। তরুণ দল নিয়ে আর্জেন্টিনার মতো ভালো ফুটবল খেলছে স্পেন। ইউরো জয়ী দলটি র‌্যাঙ্কিংয়ে আছে দুইয়ে। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণে ফুটবলের প্রাচুর্য ও কৌশলগত দিক থেকে ভালো হওয়ায় স্পেন ইউরোপের শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। 

জার্মানি-ইতালির উত্থান: ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পর জার্মানির ফুটবল উল্ট রথে ছুটেছে। সর্বশেষ ইউরো দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে জার্মানি। তরুণ জামাল মুসিয়াল ও ফ্লোরিয়ান উইর্টজের মতো ফুটবলার নতুন দিনের আশা দিচ্ছে। জার্মানি র‌্যাঙ্কিংয়ে তিনে জায়গা করে নিয়েছে। চারে আছে পরপর দুই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা ফ্রান্স। তারকা ও বড় মঞ্চের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ফ্রান্সকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে ইংল্যান্ড ও ছয়ে আছে পর্তুগাল। ইতালি সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাতে আছে তারা। আটে নেদারল্যান্ডস ও নয়ে জাপানকে রাখা হয়েছে। 

সেরা দশ ব্রাজিলের স্বান্তনা: আগামী বিশ্বকাপের পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে দশে আছে ব্রাজিল। যদিও দলটির সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও ভালো নয়। তবে দলটা ব্রাজিল বলেই হয়তো তাদের সেরা দশে রাখা হয়েছে। দারুণ সব ফুটবলার থাকায় এবং পাঁচটি বিশ্বকাপ থাকায় ব্রাজিলকে র‌্যাঙ্কিং থেকে বাদ দেওয়ার দুঃসাহস দেখানোও কঠিন। বেলজিয়াম পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে আছে ১১তম অবস্থানে। বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্রকে রাখা হয়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব র জ ল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন ব শ বক প র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেন্ট যোসেফের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, নিয়ম প্রকাশ
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা