যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি কাজা আদায় করা মুস্তাহাব। কেননা এর দায় তার ওপর রয়ে গেছে। যতদিনের রোজা রাখা হয়নি, সে কয়দিন টানা কাজা আদায় করা মুস্তাহাব। কেননা যা কাজা হয়, তা মূল রোজারই স্থলাভিষিক্ত। যদি সঙ্গে সঙ্গে কাজা আদায় করার সুযোগ না থাকে, তাহলে অন্তত কাজা করার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করতে হবে।
বিলম্ব করে কাজা আদায় করাও বৈধ। অনুরূপভাবে বিরতি দিয়েও রোজা কাজা করা জায়েজ।
কিন্তু যদি শাবান মাসের মাত্র এমন কয়েকদিন বাকি থাকে, যে কয়দিনের রোজা তার কাজা হয়েছে, এরপরই যেহেতু পুনরায় পরবর্তী রমজান এসে যাবে, তাই তখন সর্বসম্মতিক্রমে তার ওপর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে কাজা আদায় করা অপরিহার্য হবে। কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া পরবর্তী রমজানের পর পর্যন্ত কাজা রোজা পিছিয়ে দেওয়া বৈধ হবে না।
আরও পড়ুনরমজানে অধীনস্থদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন২৩ মার্চ ২০২৫সুতরাং যদি গ্রহণযোগ্য কারণে সে-সময় কাজা আদায় করতে সক্ষম না হয় তাহলে রমজানের শুধু কাজা আদায় করলেই হবে। কিন্তু এমনি দেরি করা হয়, তাহলে কাজাসহ প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে ‘ফিদয়া’ দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতিদিনের জন্য একজন অভাবীকে খাবার দিতে হবে।
যদি কাজা আদায় না করা অবস্থায় পরবর্তী রমজান মাস এসেই যায়, তাহলে প্রথমে রমজানের রোজা পালন করবে এবং পরে কাজা আদায় করেতে হবে।
(বুখারি, হাদিস: ১৯৫০; মুসলিম, হাদিস: ১১৪৬)
আরও পড়ুনরমজানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাথায় পানি দিন২৩ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বছরের মত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনো সিনেমাা বা তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে না। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির তরফে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়ছে। পরবর্তীতে কমিটির তরফে তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যে ছবি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোন ক্যাটাগরিতেই বাংলাদেশি সিনেমার নাম উল্লেখ নেই।
মূলত ভিসা জটিলতা এবং রাজনৈতিক কারণেই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি থাকছে না।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন পরিচালক গৌতম ঘোষ। সেসময় তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেদেশে ভিসা সমস্যা রয়েছে। আর বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় চলচ্চিত্র উৎসবের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ছবি নেই। আমরা আশা করব চলচ্চিত্র উৎসবের পরবর্তী এডিশনের (৩১ তম) আগে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অবস্থার যে কোনো পরিবর্তন হয়নি তা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির ঘটনাটাই পরিষ্কার।
যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি কমিটির এক সদস্য বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি ছবি জমা দেওয়া হয়েছিল। তানভীর চৌধুরীর ‘কাফ্ফারাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিটি জায়গা পায়নি।”
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উৎসবে ৩৯ টি দেশের ২১৫ টি ছবি দেখানো হবে। ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, ব্রাজিল, মরক্কো, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, বলিভিয়া, গুয়েতেমালা, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, ইরান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ফিলিস্তিন, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, সুদান, লেবানন।
সুচরিতা/শাহেদ