আইপিএলে প্রতিটি দলকে ৭টি করে লিগ ম্যাচ খেলতে হয় ঘরের মাঠে। বাকি ৭টি লিগ ম্যাচ খলতে হয় প্রতিপক্ষের ডেরায়। হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিক টুর্নামেন্টে হওয়ায় আইপিএলে হোম অ্যাডভান্টেজের প্রসঙ্গ উঠে আসে বারবার। বিশেষ করে ঘরের মাঠের পিচ থেকে সুবিধা পেতে চায় সব দলই। যদিও নিয়ম মতো পিচ তৈরিতে সরাসরি নাক গলানোর অধিকার নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।

কেকেআরকে বরাবর ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়। পছন্দ মতো পিচ পায়নি বলে এবারও হতাশা প্রকাশ করে নাইট শিবির। পিচ নিয়ে এমন চর্চার মাঝে চেন্নাই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংও জানিয়ে দিলেন, চিপকে তাদের জন্য কোনও হোম অ্যাডভান্টেজ নেই। সিএসকে কোচ সেই সঙ্গে দাবি করেন যে, চিপকের বাইশ গজ পড়তে পারা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ফ্লেমিংয়ের এমন দাবি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) সাবেক ক্রিকেটার চেতেশ্বর পুজারা। তার মতে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের জন্য সুবিধা বেশি ছিল, আর প্রথম ইনিংসে বল কিছুটা ‘স্কিড’ করছিল।  

পুজারা ক্রিকইনফোর টাইম আউট অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এটা সত্যিই বিস্ময়কর, কারণ সিএসকে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি, যারা সবসময় তাদের শক্তির সঙ্গে মানানসই উইকেট তৈরি করে। তারা সবসময় ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। ফ্লেমিং যদি বলেন, তারা উইকেট নির্বাচনে কোনো মতামত দিতে পারেন না, তাহলে সেটা আমার কাছে অবাক লাগছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘর র ম ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ