চেন্নাইয়ের ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ মন্তব্যে বিস্মিত পূজারা
Published: 29th, March 2025 GMT
আইপিএলে প্রতিটি দলকে ৭টি করে লিগ ম্যাচ খেলতে হয় ঘরের মাঠে। বাকি ৭টি লিগ ম্যাচ খলতে হয় প্রতিপক্ষের ডেরায়। হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিক টুর্নামেন্টে হওয়ায় আইপিএলে হোম অ্যাডভান্টেজের প্রসঙ্গ উঠে আসে বারবার। বিশেষ করে ঘরের মাঠের পিচ থেকে সুবিধা পেতে চায় সব দলই। যদিও নিয়ম মতো পিচ তৈরিতে সরাসরি নাক গলানোর অধিকার নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
কেকেআরকে বরাবর ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়। পছন্দ মতো পিচ পায়নি বলে এবারও হতাশা প্রকাশ করে নাইট শিবির। পিচ নিয়ে এমন চর্চার মাঝে চেন্নাই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংও জানিয়ে দিলেন, চিপকে তাদের জন্য কোনও হোম অ্যাডভান্টেজ নেই। সিএসকে কোচ সেই সঙ্গে দাবি করেন যে, চিপকের বাইশ গজ পড়তে পারা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ফ্লেমিংয়ের এমন দাবি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) সাবেক ক্রিকেটার চেতেশ্বর পুজারা। তার মতে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের জন্য সুবিধা বেশি ছিল, আর প্রথম ইনিংসে বল কিছুটা ‘স্কিড’ করছিল।
পুজারা ক্রিকইনফোর টাইম আউট অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এটা সত্যিই বিস্ময়কর, কারণ সিএসকে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি, যারা সবসময় তাদের শক্তির সঙ্গে মানানসই উইকেট তৈরি করে। তারা সবসময় ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। ফ্লেমিং যদি বলেন, তারা উইকেট নির্বাচনে কোনো মতামত দিতে পারেন না, তাহলে সেটা আমার কাছে অবাক লাগছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘর র ম ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।