ঈদুল ফিতরের দিন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ গাজায় রাফার কাছে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত আট চিকিৎসক, পাঁচজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ও জাতিসংঘের একজন কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)।

আরও পড়ুনকাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’৬ ঘণ্টা আগে

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘বিধ্বংসী ঘটনা’ ২০১৭ সালের পর বিশ্বের যেকোনো জায়গায় তাদের কর্মীদের ওপর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনের কান্না, বিশ্বের নীরবতা৩০ মার্চ ২০২৫

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শুরু থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস প্রায় দুই মাস আগে মৃতের সংখ্যার তথ্য হালনাগাদ করেছে। তাদের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, গাজায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬১ হাজার ৭০০ জনে। হাজারো মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে। এসব মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঈদ যেন গাজাবাসীর জন্য নয়৩০ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০