ড. ইউনূসও বিএনপির মত নির্যাতিত: আযম খান
Published: 2nd, April 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘‘সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নির্যাতিত হয়েছিলেন। ফ্যাসিবাদের সময় ড. ইউনূসকে শতশত কাল্পনিক হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে যেমনি বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও গায়েবি হামলা দেওয়া হয়েছিল। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেরকমি ড.
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘আপনি প্রধান উদেষ্টা হয়েছেন, নির্যাতনকারী ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেছে। তাই আপনার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশটাকে সমৃদ্ধির যাত্রায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। আপনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। ইতোমধ্যেই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বুঝে গেছে, তারা প্রতিদিন বোরকা পড়ে মা-বোনদের কাছে যায়। তারা একটি ভুল তথ্য দিয়ে আসে এবং সেটা ভুল না শুধু ধর্মের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে আসে। সেটা হলো, আমাদেরকে ভোট দেন, আমরা আপনাদেরকে বেহেস্তের চাবি নিয়ে এসেছি। এই যে মিথ্যাচার, একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন বেহেস্তের চাবি দিতে পারেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে আসবেন। তারপরবর্তী সময়ে আরও একটু দেরিতে আমাদের আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক ও দেশনায়ক তারেক রহমান আসবেন। সারা বাংলাদেশ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বরণ করার জন্য ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে বরণ করার জন্য অপেক্ষা করছে।’’
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম মিয়া, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, বাসাইল পৌর বিএনপি’র সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু প্রমুখ।
ঢাকা/কাওছার/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স হয় ছ ল আপন র উপজ ল ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।