কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের চাহিদা কি কমে যাবে
Published: 3rd, April 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির ফলে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের বিভিন্ন কাজ ধীরে ধীরে এআই এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানও সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ট্র্যাটেচেরিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান কোডিংয়ের ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিই ৫০ শতাংশের বেশি কোড লিখছে। এআই প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির ফলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের চাহিদা কমতে পারে।
অল্টম্যানের মতে, সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের জন্য এআই বর্তমানে সহায়ক হলেও ভবিষ্যতে এটি মানুষের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে একজন প্রকৌশলী আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারছেন। তবে দীর্ঘ মেয়াদে প্রকৌশলীর সংখ্যা কমতে পারে। এটা প্রযুক্তির স্বাভাবিক গতি। এজেন্টিক কোডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে কোডিংয়ে বিপ্লব ঘটাবে এআই, যা এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি সফটওয়্যারশিল্পে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।’
ভবিষ্যতে এআইয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অল্টম্যান বলেন, নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা শেখার চেয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুল ব্যবহারে দক্ষ হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।
মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস