ইউরোপীয় শহরগুলোতে শত শত মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা এলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। ট্রাম্পের ব্যাপক বৈশ্বিক শুল্ক ঘোষণার পর শনিবার এ বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জার্মান শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে, মার্কিন ডেমোক্রেটিক পার্টির শাখা ডেমোক্রেটস অ্যাব্রোড আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম ছিল ‘হ্যান্ডস অফ!’

ফ্রাঙ্কফুর্টের ওপারনপ্লাজে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন। তাদের হাতে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুন’, ‘আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তর করুন’ এবং ‘তোমার বাজে কথায় বিশ্ব ক্লান্ত ডোনাল্ড, চলে যাও!’ লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

বার্লিনে মাস্ককে লক্ষ্য লেখা প্ল্যাকার্ডগুলোতে ছিল- ‘চুপ করো এলন, কেউ তোমাকে ভোট দেয়নি’।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রায় ২০০ জন মানুষ জড়ো হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই আমেরিকান। বিক্ষোভকারীরা ‘অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করুন’, ‘আইনের শাসন’, ‘ফ্যাসিবাদ নয় স্বাধীনতার জন্য নারীবাদ’ এবং ‘গণতন্ত্র বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেছিলেন। 

লন্ডন এবং লিসবনসহ ইউরোপের অন্যান্য শহরেও ট্রাম্প ও মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ দেশে অল্প খরচে পড়তে পারেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি