যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘটনাকে হাইপার ডাইনামিক স্টোরি বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কাহিনি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্থগিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আজ রোববার সকালে ঢাকার গুলশানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে অনুষ্ঠিত ‘ব্রেকফাস্ট অন ট্রেড ব্যারিয়ার্স’ শীর্ষক বৈঠক শেষে সচিবালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে এমন মন্তব্য করেন। বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা মো.

আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক কেমন হলো এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘ভালো হয়েছে। আমরা একটা ধারণা পেয়েছি যে আমাদের ধরনের অর্থনীতি যাদের আছে, পাল্টা শুল্ক আরোপের কারণে তারা কী অনুসরণ করছে এবং আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি।’

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা তো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলবে না। আলোচনা হয়েছে, কিছু দিকনির্দেশনা পেয়েছি। এর মধ্য থেকে আমরা কী প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হব, তা বোঝার চেষ্টা করেছি। অবশ্য গতকালই বলার চেষ্টা করেছি যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মূল যোগাযোগের কাজটা করবেন। আর আমরা যারা দায়িত্বে নিয়োজিত আছি, তারা অপর পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাকি কাজটা করব।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের পর্যায়ের যোগাযোগের পদ্ধতিগুলো কী, আকাঙ্ক্ষাগুলো কী, শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো কী এবং ব্যবসা করতে গিয়ে যেসব জায়গায় তাদের সমস্যা হচ্ছে, বৈঠক থেকে সেগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের অর্থনীতির জন্য যেগুলো সহায়ক, সেগুলো তো আমরা করতেই চাই। তবে যেগুলো সহায়ক নয়, সেগুলো করা সম্ভব নয়, এ রকম একটা আলোচনা করেছি।’

শুল্ক আরোপের কার্যকরের তারিখ যদি ৯ এপ্রিল হয়, তাহলে তো যা করার এর মধ্যেই করতে হবে, এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘না। ৯ তারিখের কথাটাও বোঝার চেষ্টা করেছি যে স্থগিতাদেশের (সাসপেনশন) কোনো সম্ভাবনা বৈশ্বিকভাবে আছে কি না। তাদের কথা হচ্ছে, এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ধারণা ঘুরে বেড়াচ্ছে যে ৯ তারিখে কোনো কোনো দেশের জন্য স্থগিতাদেশ আসবে। এ ধরনের কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। ব্যাপারটা হচ্ছে যে এটা একটা হাইপার ডাইনামিক স্টোরি এবং বিশ্ববাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। দেখা যাক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালকও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নারী ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৬০ হাজার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। তাতে ‘এ’ ক‌্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন এখন মাসিক ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

আগে তারা বেতন পেতেন মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা বেতন বাড়ানো হয়েছে। গতকাল মিরপুরে বিসিবির দ্বিতীয় বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চারটি ক‌্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের বেতন দেয়া হয়। নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। তারা সর্বোচ্চ টাকা বেতন পাবেন।

দ্বিতীয় সারিতে আছে ‘বি’ ক‌্যাটাগরি। এই ক‌্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা ১ লাখ টাকা করে বেতন পেতেন। এখন পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। 

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ‘সি’ ক‌্যাটাগরির একমাত্র ক্রিকেটার স্বর্ণা আক্তার। ‘ডি’ ক‌্যাটাগরিতে রয়েছে সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার।

এছাড়া, জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। পহেলা জুলাই থেকে নতুন বেতনের স্কেল কার্যকর হয়েছে।

সিরিজ কিংবা বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় আসরে চুক্তির বাইরে থেকে যেসব ক্রিকেটাররা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা ওই মাসের বেতন বাবদ ৬০ হাজার টাকা করে পাবেন।

এছাড়া, ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ৫০ ডলার থেকে ৭৫ ডলার এবং টু‌্যর ফি ২৫ ডলার থেকে ৫০ ডলারে উন্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ