গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আফতাবনগরে বিক্ষোভ
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন কলেজ–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই শহীদ কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘ইসরায়েলের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও এক হও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা, ওয়াপদা ও বাড্ডা সড়ক ঘুরে পুনরায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। আজকে তারা ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। পাঁচ থেকে দশ বছর পরে তারা বড় মুসলিম দেশগুলোকেও আক্রমণ করবে। অবিলম্বে নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে রাজধানীর আফতাবনগরে বিক্ষোভ থেকে মুসলমান দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আজ সোমবার বিকেলে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস