ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর স্কাইলার্ক মডেল স্কুল। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর মাটিকাটার স্কুল ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইসিবি চত্বরে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধন শেষে ফের একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রোড হয়ে মাটিকাটা বাজার প্রদক্ষিণ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কাইলার্ক মডেল স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধনে স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে স্কুলটির ৮ম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ন্তি আক্তার বৃষ্টি বলেন, ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানাই, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এক অভিভাবক মো.

সারোয়ার হোসেন বলেন, ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় শিশুদের হত্যার ‍দৃশ্যে আমাদের সন্তানের মুখ আমরা দেখতে পাই। যা সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত দেহ আমাদের হৃদয়কেও ক্ষতবিক্ষত করে যাচ্ছে। সেই তাড়না থেকে আজ রাস্তায় প্রতিবাদ করতে এসছি। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষক সাগরিকা আক্তার বলেন, নারী ও শিশুদের এই নির্মম হত্যা দেখে নিজেকে আর সামাল দিতে পারি না। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করি,হে আল্লাহ্, গাজাবাসীকে তুমি মুক্ত করো। আর জালিম জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করো।

মানববন্ধনে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব ও পীচ এডুকেটর ও টিম লিডার, বাংলাদেশ এইচডব্লিউপিএল, দক্ষিণ কোরিয়া মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, মানবতার ধোয়া তোলা যে সমস্ত শক্তিধর দেশগুলো মানবতার কথা বলে, তাদের ভেতরেই তো মানবতার লেশমাত্র নেই। মুখেই শুধু মানবতার কথা বলে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ফিলিস্তিনের গাজার শিশু-নারীসহ সকল জনগণের ওপর নির্বিচারে যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তা খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ইতিহাস কী মুছে যাবে? নাকি করুণ ইতিহাস পৃথিবীর কাছে লজ্জিত হবে। সর্বোপরি এই গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নবত র গণহত য

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তাঁর মা তাহমিনা বেগম (৫২) হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পৃথক তিনটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তাঁরা। এরপর বেলা তিনটার দিকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

নিহতের সহপাঠী নূর মোহাম্মদ সোহান বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী ও তাঁর মায়ের হত্যাকারী একজন ধর্ষক। আমাদের বোনের ওপর সে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশের গাফিলতি আমরা লক্ষ করেছি।’

আরেক সহপাঠী মুনিয়া আফরোজ বলেন, ‘আমাদের বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, যা লাশ উদ্ধারের সাত দিন পর জানা গেল। পুলিশ তদন্তে অবহেলা করেছে। আমাদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে এই জোড়া খুনের পেছনে আরও বড় কোনো শক্তি আছে কি না, তা সুষ্ঠু তদন্ত করে উন্মোচন করতে হবে। মামলা বিশেষ আদালতে হস্তান্তর করতে হবে। ধর্ষকের সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী সুমাইয়া ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে, তা বের করতে হবে পুলিশকে। এর পেছনে সুমাইয়ার পরিবারের কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও তদন্ত করতে হবে।’

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথমে পুলিশ বলেছিল, সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় এবং তা দেখে ফেলার কারণে তাঁর মাকে হত্যা করা হয়। পরে জানা যায়, কবিরাজ মোবারক হোসেন সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশে গড়িমসি হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ ও মামলাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘স্মারকলিপিটি পেয়েছি। রাষ্ট্রের কাজ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিষয়টি আমরা দেখব।’

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, ‘আমরা তদন্ত করছি। আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে নিহত তাহমিনা বেগম সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী। তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় তাঁরা বাসায় একা ছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তাহমিনা বেগমের দুই ছেলে বাসায় ফিরে হত্যার বিষয়টি টের পান। পরদিন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তাহমিনা বেগমের বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম। সেদিনই পুলিশ কবিরাজ মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ওই দিন রাতেই তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়াল
  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন