ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে স্কাইলার্ক মডেল স্কুলের মানববন্ধন
Published: 9th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর স্কাইলার্ক মডেল স্কুল। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর মাটিকাটার স্কুল ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইসিবি চত্বরে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে ফের একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রোড হয়ে মাটিকাটা বাজার প্রদক্ষিণ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কাইলার্ক মডেল স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধনে স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে স্কুলটির ৮ম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ন্তি আক্তার বৃষ্টি বলেন, ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানাই, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এক অভিভাবক মো.
স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষক সাগরিকা আক্তার বলেন, নারী ও শিশুদের এই নির্মম হত্যা দেখে নিজেকে আর সামাল দিতে পারি না। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করি,হে আল্লাহ্, গাজাবাসীকে তুমি মুক্ত করো। আর জালিম জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করো।
মানববন্ধনে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব ও পীচ এডুকেটর ও টিম লিডার, বাংলাদেশ এইচডব্লিউপিএল, দক্ষিণ কোরিয়া মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, মানবতার ধোয়া তোলা যে সমস্ত শক্তিধর দেশগুলো মানবতার কথা বলে, তাদের ভেতরেই তো মানবতার লেশমাত্র নেই। মুখেই শুধু মানবতার কথা বলে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ফিলিস্তিনের গাজার শিশু-নারীসহ সকল জনগণের ওপর নির্বিচারে যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তা খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ইতিহাস কী মুছে যাবে? নাকি করুণ ইতিহাস পৃথিবীর কাছে লজ্জিত হবে। সর্বোপরি এই গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নবত র গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরে মিছিল-সমাবেশ
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে নিরাপদ ও বাসযোগ্য মোহাম্মদপুর গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার অন্তত ৭০টি কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদপুর-আদাবরের সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের মাঠে জড়ো হয়। রোদের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দেয় তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও সেখানে আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কলেজের শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে মোহাম্মদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চাই। আজকে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে না বলেছে। এভাবে এলাকায় যারা সন্ত্রাসী ও রাহাজানি করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। তবুও মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসী এলাকা, এমন কথা শুনতে হয়। আজকে মাদক আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। এ দৃষ্টান্ত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। মোহাম্মদপুর থেকে যাত্রা শুরু হোক মাদক ও সন্ত্রাসকে না বলার।
এ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, মোহাম্মদপুর ও আদাবরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও রাজনীতিবিদেরা একসঙ্গে কাজ করলে পরিবর্তন হতে বাধ্য।
সমাবেশ শেষে মিছিল করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘যে মুখে মা ডাকি, সে মুখে মাদক নয়’, ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’, ‘কিশোর গ্যাংয়ের আস্তানা, মোহাম্মদপুরে হবে না’, ‘চাঁদাবাজের আস্তানা, মোহাম্মদপুরে হবে না’ স্লোগান দেওয়া হয়।
মিছিলটি কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে বের হয়ে তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড, আসাদ অ্যাভিনিউ, টাউন হল ও শের শাহ সূরী রোড ঘুরে কিশলয় উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।