ফিলিস্তিনে গণহত্যা: যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল জ
Published: 10th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা, যুদ্ধ বন্ধের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি দূতাবাস ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি দেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ্, অধ্যাপক আবু লায়েক, তারেক বিন আতিক, জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহম্মেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা, মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদ হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে অধ্যাপক বিলাল হোসেন বলেন, “জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা গাজায় ইসরায়েলী বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ চারটি দাবি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এছাড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টে একসেপ্ট ইজরায়েল পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ সাতটি দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি আমরা বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর জমা দিয়েছি। আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি দূতাবাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপির দাবিগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, “ইসরায়েল আবারো গাজায় নিষ্ঠুর বর্বরতা চালাচ্ছে। শিশু মারা যাচ্ছে, মায়ের কোল খালি হচ্ছে, ধ্বংস হচ্ছে হাসপাতাল, স্কুল এবং মসজিদ। মানবতা আজ গাজার সঙ্গে কাঁদছে। আমাদের শোক, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ভাষাও যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।