Prothomalo:
2025-08-01@04:41:51 GMT

সৎসঙ্গ কেন গ্রহণ করবেন

Published: 12th, April 2025 GMT

সঙ্গী নির্বাচন জরুরি বিষয়। সৎ লোকদের বন্ধু বানালে সেই বন্ধুত্ব ইহকাল ও পরকাল দুই সময়েই কাজে আসবে। কোরআনে আছে, ‘সেদিন (কেয়ামতের দিন) বন্ধুরা পরস্পরের শত্রু হয়ে যাবে সাবধানী ছাড়া।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত: ৬৭)

সৎ ও আল্লাহভীরু লোকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে তাদের সঙ্গ থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাদের ভালো গুণ, স্বভাব ও চরিত্র ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। কোরআনে আছে: ‘বিশ্বাসীগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ গ্রহণকারী হও।’ (সুরা তওবা, আয়াত: ১১৯)

আরও পড়ুনঅন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কী আচরণ করব০৪ এপ্রিল ২০২৫

অসৎ লোকদের বন্ধু বানালে কেয়ামত দিবসে আক্ষেপের অন্ত থাকবে না। কোরআনে এক ব্যক্তির বর্ণনা আছে, যে প্রথম দিকে ইসলামের পথে ছিল, বন্ধুদের মান রাখতে গিয়ে মহানবীর (সা.

) মন্দ আচরণ করেছে, সে চিৎকার করে বলবে ‘হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুক-অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ (কোরআন) পৌঁছানোর পর সে আমাকে বিভ্রান্ত করেছিল।’ শয়তান তো মানুষকে বিপদের সময় ছেড়ে চলে যায়। (সুরা ফুরকান, আয়াত: ২৮-২৯)

 রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গী গ্রহণের বিষয়টি চমৎকার উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা সুগন্ধি বিক্রেতা ও কামারের হাঁপরের মতো। সুগন্ধি বিক্রেতার কাছ থেকে হয় তুমি নিজে সুগন্ধি খরিদ করবে, না হয় এমনিতে এর ঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাঁপর হয় তোমার শরীর অথবা কাপড় পুড়িয়ে দেবে, আর না হয় তুমি তার ধোঁয়া পাবে।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৯৭১)

আরও পড়ুনআত্মহত্যা বিষয়ে ইসলাম কী বলে০৩ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

টিনএজ সিনড্রোম: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এক নীরব সংকট

এক সময় ছিল, যখন সন্তানের আবেগ, দুষ্টুমি বা হঠাৎ রাগ দেখে বাবা-মা মুচকি হেসে বলতেন—“বয়স হয়েছে, ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু আজ, সেই দুষ্টুমি পরিণত হয়েছে এমন আচরণে, যা অনেক সময় বাবা-মা পর্যন্ত চেনেন না। সন্তান চোখে চোখ রাখে না, ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়, কথা বললে রাগে ফেটে পড়ে। এই চিত্র এখন বিশ্বব্যাপী। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আমরা এক ‘Adolescent Syndrome’ বা ‘Teenage Behavioral Crisis’-এর মুখোমুখি, যা বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।

আচরণগত বিপর্যয়ের পেছনে বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিনএজ সিনড্রোমের প্রধান কারণ তিনটি:

হরমোনের দোলাচল: ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের ওঠানামা টিনএজারদের আচরণে গভীর প্রভাব ফেলে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হরমোনাল পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, যা আচরণে অতিরিক্ত আবেগ ও বিদ্রোহের জন্ম দেয়।

মস্তিষ্কের অসম্পূর্ণ বিকাশ: ১৩-১৯ বছর বয়সে মস্তিষ্কের যুক্তিবোধ ও নিয়ন্ত্রণ-সম্পর্কিত অংশ (prefrontal cortex) এখনও গঠনের পর্যায়ে থাকে। ফলে তারা আবেগে সিদ্ধান্ত নেয়, ঝুঁকি নেয়, এবং কখন কী বলতে হবে—তা বোঝে না।

প্রযুক্তির নীরব আগ্রাসন: TikTok, Instagram, Snapchat—এসব প্ল্যাটফর্মে মেয়েরা দিনে গড়ে ৬–৮ ঘণ্টা সময় কাটায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়া সৌন্দর্য ধারণা, জনপ্রিয়তার চাপ, ফিল্টার সংস্কৃতি তাদের আত্মপরিচয়কে বিকৃত করে তুলছে।

কেন বেশি দেখা যায় মেয়েদের মধ্যে?

Emotional Sensitivity: মেয়েরা আত্মপরিচয় ও আত্মমূল্যায়নে বেশি স্পর্শকাতর।
Beauty Pressure: সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের শরীর, ত্বক, স্টাইল—সবকিছু নিয়েই এক অনিয়ন্ত্রিত চাপ কাজ করে।
Hormonal Impact: মাসিক চক্র ও হরমোন ওঠানামা তাদের মুড, আবেগ ও আচরণে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

বাবা-মা কি আগের তুলনায় বেশি সমস্যায়?

হ্যাঁ, এবং এর পেছনে রয়েছে পরিবারে সংলাপের ঘাটতি। অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারদের আধিপত্য। পিতামাতার নিজের মানসিক চাপ। বিকৃত প্রতিযোগিতামূলক সমাজব্যবস্থা। আজ অনেক অভিভাবক জানেন না—কীভাবে সন্তানের কাছে পৌঁছাতে হয়। তারা নিজেরাই কর্মব্যস্ত, ক্লান্ত, মানসিকভাবে নিঃশেষ।

বিশ্বের অবস্থা কী বলছে?

জাপানে টিনএজ আত্মহত্যার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সুইডেনে, গত ১০ বছরে কিশোরীদের বিষণ্ণতা বেড়েছে ৪৭%। যুক্তরাষ্ট্রে, CDC বলছে—“Teenage girls are experiencing record levels of sadness, violence, and suicidal thoughts.” বাংলাদেশে, শহরাঞ্চলে স্কুলগামী কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্ণতা বেড়েছে প্রায় ৫০% (মনোরোগ ইনস্টিটিউট, ২০২৩)।

তাহলে বাবা-মা কী করবেন?

শুনুন, শাসন নয় – সন্তানকে সময় দিন, তার কথার পেছনে আবেগ বুঝুন।
প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ করুন – নিজেরাও মডেল হোন প্রযুক্তি ব্যবহারে।
কাউন্সেলিংয়ে ভীতি নয় – প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিন।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্যও রক্ষা করুন – সন্তানকে বোঝাতে গেলে নিজের ভেতরে শান্তি থাকা জরুরি।

একটি প্রজন্ম যেন না হারিয়ে যায়। এই সংকট নিছক পারিবারিক নয়—এটি এক সামাজিক দায়। টিনএজারদের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণা বোঝা না গেলে, আমরা এক ‘চুপ করে থাকা বিষণ্ণ প্রজন্ম’ হারিয়ে ফেলব। সন্তান যখন বিদ্রোহ করে, সে আসলে জানিয়ে দেয়— ‘আমি ভালোবাসা চাই, বোঝার মানুষ চাই।’ আমাদের দায়িত্ব তাদের ভাষা বুঝে নেওয়া।

তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি
  • থানায় হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার আহ্বান আইজিপির
  • ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
  • শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার
  • শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 
  • ‘আমি কী অপরাধ করেছি’— সবাই জানেন শিরোনামটা...
  • নারীদের নিয়ে বারে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণ, আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
  • টিনএজ সিনড্রোম: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এক নীরব সংকট