ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবারের তিন ম্যাচেই বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। বৃষ্টিস্নাত দিনে পরে ব্যাটিং করে আবাহনী ৪ উইকেটে, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৩ উইকেটে এবং লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে। রূপগঞ্জ হারিয়েছে মোহামেডানকে। 

বৃষ্টির কারণে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও বিকেএসপির দুই মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচ ২২ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। বৃষ্টির আগে মোহামেডান ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ায় ছোট লক্ষ্য পেয়ে রূপগঞ্জ দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে। 

এদিন মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান ২৯.

৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তোলে। পরে বৃষ্টি নামলে ২২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯৪ রানের লক্ষ্য পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ১৩.২ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয় পায় দলটি। তবে রূপগঞ্জের ওপেনার তানজিদ তামিম শূন্য করেন। অন্য ওপেনার সাইফ হাসান ৫৫ ও তিনে নামা সৌম্য ৩৬ রান করে দলকে জেতান। 

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আবাহনীর বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তারা ২৪.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তুলতে পারে। আবাহনী ২২ ওভারে ১৫৭ রানের লক্ষ্য পায়। ওই রান তারা ১৯.২ ওভারে তুলে ফেলে। অগ্রণী ব্যাংকের ইমরুল কায়েস ৪৮ রান করেন। আবাহনীর অনিক ২৫ ও মাহফুজুর রাব্বি ২০ রান করেন। 

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ২৩.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তোলে। গুলশান ক্লাবকে ২২ ওভারে ১৬৫  রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়। ২ বল থাকতে জয় তুলে নেয় গুলশান। দলটির হয়ে মেহেদী হাসান ২৪ বলে ৪৩ রান করেন। নাঈম ইসলাম ৩৩ বলে ৫৬ রান করে দলকে জেতান। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল উইক ট হ র য় র পগঞ জ র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ