‘গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’
Published: 18th, April 2025 GMT
স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম বড় শক্তি। গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব নয়, গণন্ত্রণের বিকাশও সম্ভব নয়। এ বাস্তবতায় গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ।
গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি।
ড.
রাজধানীর ইকবাল রোডে ওয়াইডব্লিউসিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ইউনেস্কো-আইপিডিসি এবং নিউজ নেটওয়ার্ক। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় সংস্থাকে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ড. সুজান ভাইজ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের দায়মুক্তি বন্ধ করার জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান এবং ঢাকায় ইউনেস্কোর যোগাযোগ ও তথ্য খাতের প্রধান নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণম ধ যমকর ম গণম ধ যমকর ম দ র অন ষ ঠ ন কর ম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।