শহীদি সমাবেশ সফল করতে রাজশাহীতে গণসংযোগ
Published: 19th, April 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থান, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার এবং এ সব ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার শহীদি সমাবেশ সফল করতে রাজশাহীতে গণসংযোগ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের জলিল বিশ্বাস মার্কেটের সামনে থেকে এ গণসংযোগ শুরু হয়। এরপর রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের মধ্যে ও আরডিএ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে লিফলেট বিতরণ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গণসংযোগকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদি সমাবেশ ডাক দিয়েছি। আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠেয় এই সমাবেশে সবাইকে শরিক হয়ে দাবিসমূহকে সফল করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, শরীফ ওসমান হাদী, আব্দুল্লাহ আল জাবের, মো.
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।